বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়া যেমন কঠিন, ঠিক তেমনই আবার আপনাকে চাকরিতে থাকতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, তবে অনেকেই আছেন যারা চাকরি পান, কোটি টাকা বেতন পান, তারপরও চাকরি ছেড়ে দেন। আজ আমরা এমন একটি ঘটনাই বলতে চলেছি, যা শুনলে আপনিও হতবাক হয়ে যাবেন। আমেরিকায় নেটফ্লিক্সে কাজ করা এক ব্যক্তি পদত্যাগ করেছেন। জানা যায়, তাঁর বার্ষিক বেতন ছিল সাড়ে তিন কোটি টাকা। কোটি টাকা বেতন হলেও তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। খবরে জানা গেছে, এই ব্যক্তির নাম মাইকেল লিন।
তিনি নেটফ্লিক্সে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। লিন তাঁর লিঙ্কডইন পোস্টে লিখেছেন যে, তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি নেটফ্লিক্সে যোগদান করার সময় মনে করতেন, তিনি সারা জীবন একই কোম্পানীতে কাজ করতে যাচ্ছেন। এখানে কোম্পানী সংক্রান্ত কোনো সমস্যা ছিল না। কোম্পানীতেই তিনি সব ধরনের খাবার পেতেন। সীমাহীন ছুটির পাশাপাশি, তাঁর বেতন ছিল ৪৫০,০০০ ডলার অর্থাৎ আনুমানিক বার্ষিক ৩.৫ কোটি টাকা, কিন্তু ২০২১ সালের মে মাসে লিন যখন চাকরি ছেড়ে দেয়, তখন সবাই খবরটি শুনে হতবাক হয়ে যান।
তাঁর এই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত শুনে তাঁর পরিবারের সদস্যরা গভীরভাবে শোকাহত হন। তাঁর পরিবারের সকলে ভেবেছিলেন যে, তিনি পাগল হয়ে গেছেন। এমনকি, তাঁর পরামর্শদাতাও তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং বলেছিলেন, অন্য চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত লিনের চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত হয়নি। মাইকেলের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না।কাজ করতে গিয়ে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন, কিন্তু ধীরে ধীরে করোনা মহামারীর পর তাঁর এই সবকিছুকে বিরক্তিকর মনে হতে শুরু করে।
কোম্পানির প্রদত্ত সমস্ত সুযোগ সুবিধা, এমনকি লোকেরা একসাথে কাজ করা এবং অন্য সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। শুধু বাকি থাকে কাজ। তাঁর আর মজা লাগে না তাই তিনি বিরক্ত হয়ে পদত্যাগ করেন। সবাই নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, কোটি টাকা বেতন পাওয়া লিন যখন চাকরি ছেড়ে দেন, তখন হয়তো তাঁর জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন হয়। আসলে তাঁর চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় তাঁর ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি এবং তাঁর কিছু যায় আসেনি। চাকরি ছাড়ার পর আট মাস ধরে তিনি নির্মাতা, লেখক ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। এখন তিনি নিজের ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এটি তাঁর জন্য ভাল হবে এবং বিশ্বাস করেন যে, বাকি জিনিসগুলি তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।