করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণ রুখতে সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে 21 দিনের লকডাউন (Lockdown)। এই সময় জরুরী পরিষেবা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না বলে ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেহেতু এখনো পর্যন্ত এই করোনাভাইরাস মোকাবেলা করার কোন প্রতিষেধক ওষুধ নেই সেহেতু লকডাউন একমাত্র উপায় রয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণকে ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার। তবে এই লকডাউনের সিদ্ধান্তের জেরে কিন্তু দেশের গরিব খেটে-খাওয়া মানুষের দেরকে বেশ বড় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আর এক্ষেত্রে বিশেষ করে সমস্যায় পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা, তাছাড়া স্থানীয় স্তরেও দিনমজুরের সমস্যাও কম নয়। তবে এবার এই ধরনের শ্রমিকদের পাশে এসে দাঁড়ালেন উত্তর প্রদেশের সরকার যোগী আদিত্যনাথ। এরকম এক কঠিন পরিস্থিতিতে এইসব লোকের জন্য আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন তিনি এবং সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে টাকা এমনটাই জানালেন তিনি। আজ সোমবার দিন রাজ্যের চারটি জেলাতে শ্রমিকদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চেয়ে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আর এখানেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন লকডাউন এর জেরে যেসব শ্রমিকেরা কাজ হারিয়েছেন এবং সমস্যায় পড়ছেন তাদের যাতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় আগামী দিনে তার জন্য প্রায় 611 কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে তার সরকার। আর এই পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত হবে 27 লক্ষ 15 হাজার শ্রমিক। যেখানে তাদেরকে সরাসরি অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে চান উত্তর প্রদেশের সরকার। এরই পাশাপাশি যোগী ঘোষণা করেন যে যারা “মনরেগা”-অর্থাৎ 100 দিনের কাজে যুক্ত রয়েছেন তাদের সরাসরি অর্থ সাহায্য করা হচ্ছে।
আর একইসাথে তাদের খাদ্যশস্য পৌঁছে দেবার চেষ্টা করছে সরকার। আর শ্রমিকদের কাছে যাতে টাকা সুনিশ্চিতভাবে পৌঁছে যায় তার জন্য যৌথভাবে কাজ করছে স্টেট ব্যাংক এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।অন্যদিকে গতকাল উত্তরপ্রদেশের ভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের ওপর রাসায়নিক স্প্রে করা নিয়ে বিস্তর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি যোগী সরকারের উপরও এরকম কাজের জন্য বিরোধিতা পাল্টা অভিযোগ করেছে এ বিষয়ে।
যদিও এই বিষয় নিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে জেলাশাসকদের তিরস্কার করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক পদক্ষেপ করা হবে এমনটাও তিনি জানিয়েছেন। তাই এভাবে এই বিতর্কের মধ্যেও আবার মানবিক রূপ দেখা মিলল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর।এর কিছুদিন আগেই দিল্লিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য তিনি ত্রাতা হয়ে উঠেছিলেন। আর তার নির্দেশেই 1000 বাস রাস্তায় নেমে শ্রমিকদের ঘর ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছিল।