জাতীয় সঙ্গীতে বদলানোর প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ স্বামী৷ প্রধানমন্ত্রীকে দু’পাতার একটি চিঠি লিখলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেইসঙ্গে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখে জানিয়েছেন এই কথা৷ জাতীয় সঙ্গীতের বদল চাওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন বিতর্ক।
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সঙ্ঘে অথবা বিজেপিতে মাঝেমধ্যেই আপত্তি দেখা গিয়েছে। বঙ্গে বিজেপি নিজের আসন সুরক্ষিত করতেই হোক বা অন্য কোনো কারণে গত দু’বছরে মোদী মাঝে মাঝেই তাঁর বক্তব্যের মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করেছেন। এই অবস্থায় সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর ট্যুইট বিতর্ক উস্কে দিল।
‘জনগণমন’ গানে কেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আপত্তি জানালেন?
আপত্তির অন্যতম কারণ ‘সিন্ধু’ শব্দটি। তাঁর মতে, জাতীয় সঙ্গীতের কিছু শব্দ যেমন সিন্ধু এই সময়ে অনাবশ্যক ধন্দ সৃষ্টি করছে৷ তাই তিনি জনগণমন এর পরিবর্তে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (INA )-র গাওয়া গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কথা লিখেছেন
‘ আইএনএ-র জাতীয় সঙ্গীত ‘কাওয়ামি তারানা’র প্রথম পংক্তি ছিল ‘শুভ সুখ চ্যায়েন’ – এই গানটিই ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেছেন স্বামী।
ইতিহাস বলছে, ১৯৪৩-এ সুভাষ চন্দ্র বসুর নির্দেশে আইএনএ-র দুই সদস্য মুমতাজ হোসেন এবং কর্নেল আবিদ হাসান সাফরানি গানটি লিখেছিলেন, সুর দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রাম সিংহ ঠাকুর।
ভারতের স্মার্টফোনের দাম আরো কমাতে Realme-র সঙ্গে কাজ করছে Jio,আসতে চলেছে 5G
কিন্তু জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ কি বদল করা যায়?
জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ বদল প্রসঙ্গে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের বক্তব্যের উল্লেখ করেছেন সুব্রহ্মণ স্বামী যুক্তি দিয়েছেন । ১৯৪৯ সালে রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ পরিবর্তন বা সংশোধন করা যেতে পারে।
কিন্তু যে ‘সিন্ধু’ শব্দ নিয়ে বিজেপি সাংসদ আপত্তি জানিয়েছেন সেই সিন্ধু শব্দ আইএনএ-র গানেও রয়েছে। এছাড়াও, ‘সিন্ধু’ শব্দটি আরএসএসের অখণ্ড ভারততত্ত্বও সমর্থন করে। যদিও সুব্রহ্মণ স্বামীর আশা, আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যেই এ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে মোদী সরকার।
কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে রবীন্দ্রনাথ যে জায়গায় অধিষ্ঠিত তাতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর এতবড় ঝুঁকি কী নেবে বিজেপি? এই প্রশ্নই তুলছেন সমালোচকদের একাংশ