হিন্দু দেব-দেবীদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলেন দেবাদিদেব মহাদেব। হিন্দু মহিলারা এমনকি পুরুষরাও শিবের পুজো করেন। প্রাচীনেরা বলে থাকেন মেয়েরা শিব পুজো করলে শিবের মতো বর পাওয়া যায়। যদিও এই বর এর অর্থ আশীর্বাদ। বাবার আশীর্বাদে তাদের সাফল্য প্রাপ্তি হয়। কিন্তু এই শিবলিঙ্গে দুধ এবং জল ঢালার অনেক কারণ রয়েছে।
বৈজ্ঞানিকরা মনে করেন বর্ষাকালে ঘাস খাওয়ার সময় গরু ঘাস এর সাথে বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া খেয়ে ফেলে৷ যার ফলে দুধে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ তাই বর্ষাকালের দুধ পান না করে শিবলিঙ্গের ঢালা হয়।
অনেকে মনে করেন, সমুদ্রমন্থনের সময় শিব নিজের কন্ঠে ধারণ করেছিলেন বিষ৷ সেই জন্যই এমনটা করা হয়। অন্যদিকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে বর্ষাকালের দুধের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচাতে শিবলিঙ্গে দুধ ঢালা হয়৷
পৌরাণিক মতে দেবতা এবং অসুররা মন্দার পর্বত এর সাহায্যে সমুদ্র মন্থন করেছিলেন। এই সময় সমুদ্র থেকে উঠে আসে প্রচুর ধনরত্ন। কিন্তু তার সঙ্গে উঠে আসে অমৃত এবং গরল। অমৃত অমরত্ব দিলেও গরল মারাত্মক ক্ষতিকর। কোন দেবতা গরলের ভাগ নিতে রাজি ছিলেন না। তাই মহাদেব তার আপন কন্ঠে ধারণ করেছিলেন। নীলকন্ঠ তাই তার নাম। সমগ্র সৃষ্টি কে রক্ষা করতে তিনি এ বিষ ধারণ করেন।
LIC এর দুর্দান্ত সুযোগ, মাত্র একবার বিনিয়োগ করলে আজীবন পাবেন পেনশন
এরপর তার শরীরের তাপমাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল। মহাদেবকে বিষের জ্বালা থেকে বাঁচাতে দেবী তারা প্রকট হয়ে স্তন্যপান করান। সেই কারণে এখনও শিবের বিষের জ্বালা কমাতে তাকে দুধ দিয়ে স্নান করানো হয়।
আধ্যাত্বিকরা বলে থাকেন মন্দির গর্ভে রাখা শিবলিঙ্গ পরিবেশ থেকে বিভিন্ন রকম নেগেটিভ এনার্জি গ্রহণ করে। এর ফলে শিবলিঙ্গের তাপমাত্রা বেড়ে যায়৷ তাই ডাবের জল দিয়ে সেই উষ্ণতা প্রশমিত করা হয়। শিবরাত্রিতে মহিলারা শিব পুজো করেন। শিবলিঙ্গে জল ঢেলে পুজো করেন। কথিত আছে এমনভাবে পুজো করলে ভক্তের প্রতি সন্তুষ্ট হন মহাদেব।