সরস্বতী পুজো মানেই আলমারি থেকে হলুদ শাড়ি আর হলুদ কুর্তা পাজামা বের করার দিন। দোকানে হলুদের মেলা বসে যায়৷ এই দিনে প্রায় সবাই হলুদ পোশাক পরতে পছন্দ করেন। কিন্তু কেন হঠাত এই দিনটার সঙ্গে হলুদ রং এইভাবে ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে?
বসন্তপঞ্চমী বা সরস্বতী পুজো বাঙালি জীবনের বিশেষ উৎসব। শীতকালের পর বসন্ত আসে৷ বসন্তের শুরুতেই প্রথম যে উত্সব পালিত হয়, তা হল সরস্বতী পুজো। বাংলা ক্যালেন্ডারে মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়৷ সরস্বতী পুজোর এই বিশেষ দিনটি শ্রী পঞ্চমী নামেও পরিচিত।
হলুদং রং-কে বসন্ত বলা হয়ে থাকে। বসন্ত পঞ্চমী থেকেই শীতের শেষ এবং বসন্তের শুরু। এই সময় প্রকৃতিও শীতের রুক্ষতা ভুলে নতুন করে সেজে ওঠে। উজ্জ্বল সূর্যালোকে চারপাশ ঝকঝক করে। আমাদের জীবনে এক একটি রঙের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। হলুদ রং আমাদের নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা দেয়৷ সেইসাথে শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত রাখে।
এই বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো। সরস্বতী পুজোর সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা ৫৯ মিনিট থেকে শুরু হয়ে বেলা ১২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। সকালে স্নান সেরে সাদা বা হলুদ পোশাক পরে কচিকাচা থেকে বড়রা সবাই সরস্বতী পুজোর জন্য প্রস্তত হবেন।
বাস্তুমতে হলুদ রঙের অর্থ কোনও কিছু নতুন শুরু করা। যেহেতু এই সময় থেকেই শীত শেষ হয়ে বসন্ত শুরু হয়, তাই শ্রীপঞ্চমীতে হলুদ রঙের পোশাক পরার রীতি প্রচলিত। হলুদ রং মঙ্গলদায়ক। নিজ শক্তির দিকে আমাদের আকর্ষণ করে। মানসিক ভাবে আমাদের শক্তি জোগায়। মনে আশার সঞ্চার করে৷ তাই একে জীবনের রং এবং শুভবুদ্ধির রং বলে মনে করা হয়৷ সুস্বাস্থ্যেরও প্রতীক হলুদ রং। তাই বসন্তপঞ্চমীতে হলুদ রঙের পোশাক পরতে বলা হয়।