দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে করোনা টিকা দান প্রক্রিয়া৷ জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হলেই করোনার টিকা নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে একা নরেন্দ্র মোদি নয়, মোদির পাশাপাশি টিকা দেওয়া হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। সূত্রের খবর, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়েছে পরবর্তী দফায় ভ্যাকসিন পাবেন পঞ্চাশের বেশি বয়স্ক সমস্ত রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা৷
অর্থাৎ এই ভাবনা চিন্তা অপরিবর্তিত থাকলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টিকা নিতে পারেন মার্চ বা এপ্রিলে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক আধিকারিক এর অভিমত, প্রধানমন্ত্রী কোনভাবেই চান না, করোনা টিকাকরণের যে সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে তা ভেঙে যাক । এই নিয়ে আলোচনাও করেছেন অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে।
কোভিড যোদ্ধারা যাতে সকলে সুষ্ঠুভাবে টিকা নিতে পারে সেটাই চান তিনি৷ তারপর যখন সুযোগ আসবে তখনই অন্য সমস্ত রাজনীতিবিদদের টিকা দেওয়া হোক, এ বিষয়ে বারবার সকলকে অনুরোধ করেছেন মোদি।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ ৩ জন, বন্ধ দুর্গাপুরে টিকাকরণ কর্মসূচি
আপাতত প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের করোনা টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ ভ্যাকসিন পাচ্ছেন পুলিশ, মিউনিসিপ্যাল কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর পরেই ভ্যাকসিন পাবেন পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিরা । সেইসঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বয়স পঞ্চাশের কম কিন্তু কো মর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের৷
গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর ভ্যাকসিন প্রথমে কারা পাবেন সেই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলোচনা করেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। আলোচনায় স্থির হয় প্রবীণ নাগরিক যাদের বয়স ৬৫ উর্ধ্ব তাদের সঙ্গেই কো মর্বিড পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে৷ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশানের প্রেসিডেন্ট কে সাইনাথ বলেন, হাইপারটেনশন, ডায়াবিটিসের মতো রোগাক্রান্ত কো মর্বিডিটি ব্যক্তির সংখ্যা অনেক৷ পাশ্চাত্যের তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে এই সব রোগ মধ্যবয়স্কদের মধ্যে। কাজেই পশ্চাশোর্ধ্ব কো মরবিডি থাকা ব্যক্তিদের টিকাদান সঠিক সিদ্ধান্ত।