2016 সালে মোদি সরকার নোট বন্দি করেছিলেন।
তখন তিনি জানিয়েছিলেন দেশে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা অবৈধভাবে লেনদেন করছেন তাদের ওপর নজরদারি রাখছে সরকার।সঠিক সময় হলে সেই কোম্পানি গুলির উপর আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব সেটাও তিনি জানিয়েছিলেন তখন। কিন্তু নোট বন্দীর পরে মিডিয়া মোদি সরকার কে যেন আক্রমণ করেই চলছিল তার নোট বন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে। শুধু এই নয় তারা নোট বন্দির নিয়ে অনেক মিথ্যা খারাপ প্রভাবও মানুষকে দেখাতে শুরু করেন।তাদের দাবি ছিল নোট বন্দীর মতো এতো বড় সিদ্ধান্তকে হঠাৎ করে নেওয়া ঠিক হয়নি এটা আগের থেকে খবর দিয়ে করা উচিত ছিল যার ফলে সমস্ত মিডিয়ায় এবং অবৈধ কম্পানি গুলি তাদের সমস্ত কালো টাকা লুকিয়ে ফেলতে পারত।শুধু এই নয় তারা প্রচার করতে থাকে নোট বন্দির ফলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।
Economics times এর সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে যে কোম্পানিগুলোর ওপর সরকার নোট বন্দির সময় নজরদারি রেখেছিল সেই কোম্পানিগুলিকে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কারণ এই কোম্পানিগুলিকে নোট বন্দির পর থেকে সরকার দোষী মনে করছিল।এই বিষয়ে পিপি চৌধুরী যিনি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কর্পোরেট বিশেষক রাজ্য মন্ত্রী,তিনি বলেন অনেক অবৈধ টাকা জমা করেছে এরকম যে সমস্ত কোম্পানিগুলোর খোঁজ পেয়েছি তার সংখ্যা রয়েছে 73 হাজার।নোট বন্দির সময় এরা 2.400 কোটি টাকা অবৈধভাবে জমা করেছেন এছাড়া 3.25 লক্ষ্য কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে বলে বিশেষ তদন্তে জানা গেছে।সরকারের কাছে প্রথমে 1.60 মিলিয়ন কোম্পানি নাম উঠে এসেছিল যাদের কে সন্দেহ করা হয়েছিল সেই সমস্ত কোম্পানিগুলি অবৈধ লেনদেনের জন্য।
পিপি চৌধুরী আরো বলেন যে এই তদন্ত করার পরে সরকার 3.25 লক্ষ্য কম্পানি বন্ধ করে দিয়েছে যারা অবৈধভাবে এরকম লেনদেন করছিল। তিনি একটা কথা পষ্ট জানিয়ে দেন যে, এবার “ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কর্পোরেট অ্যাফসারজের” এ বিষয়ে জোর দিতে হবে এবং তদন্ত করে খুবই তাড়াতাড়ি কোম্পানিগুলোকে যাতে ধরা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন মোদী যদি হঠাৎ করে এরকম কোন নোট বন্দির প্রকল্প না করত তাহলে এসব কোম্পানিকে কোন প্রকার ধরা সম্ভব হতো না ।তাই তারা মোদির এই সাহসী পদক্ষেপকে কে সম্মান জানিয়েছেন।কংগ্রেস সরকার তাদের নিজেদের সুবিধার্থে 2013 সালে “ইজ অফ ডুইং বিজনেস” নামে এক আইন চালু করেছিল কিন্তু মোদি সরকার কালো টাকা ফিরিয়ে আনা প্রকল্পে সেই আইনে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনতে চলেছেন বলে জানা গেছে। আরো জানা গেছে মোদীজির এই সাহসী পদক্ষেপের জন্য 65 হাজার কোটি টাকার কালো ধন ফিরে পাওয়া গেছে। আর এখন দু’বছর পর খবর পাওয়া যাচ্ছে নোট বন্দির পর 73 হাজার কম্পানি অবৈধভাবে লেনদেন করতো তাদের।
আর একটি ভালো খবর আপনাদের জানিয়ে দিয় নোট বন্দির পর থেকে ভারতের ট্যাক্স দাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থের ভারতের ট্যাক্স সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপর মোদিজির জি এস টি (GST)প্রকল্প শুরু হওয়ায় ভারতের ট্যাক্সের পরিমাণ অনেক গুন বেড়ে দাঁড়িয়েছে।যেখানে 2017 তে ভারত 83 কোটি ট্যাক্স সংগ্রহ করা হতো সেখানে 2018 অক্টোবরে এক সংগ্রহের পরিমাণ 1 লক্ষ কোটি টাকার।এ থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে সব নেতারা এবং মিডিয়া’রা নোট বন্দি কে সমর্থন করেনি তাকে দোষারোপ করছিল মোদি সরকারকে ও মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছিল সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিন্তু জনগণ ঠিকই বুঝতে পারছে যে মোদি সরকারের এই বড় পদক্ষেপের ফলে দেশের সুবিধা হয়েছে।আপনি যদি মোদীজির এ কাজকে সমর্থন করে থাকেন তাহলে আপনিও এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।