মিঁয়া-বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজী! কথাটা শুনেছেন নিশ্চয়ই৷ এবার কার্যত তা আইনে পরিবর্তন হল৷ কাজী বা কাজীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করার সাহস অনেকেই এখনো দেখাতে পারেন না। যারা করেন তাদের জন্য অনেক সময় পরিবার, সম্প্রদায়, পাড়া-পড়শি, এক্ষেত্রে কাজীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়৷ সমস্যা তৈরি করে।
দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ একে অপরের সঙ্গে সারা জীবন কাটাবেন স্থির করলেও এই কাজীদের জন্য অনেকসময় সেটা হয় না৷ তবে এবার Supreme Court রায় দিয়েছে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভেবে-চিন্তে নিজেরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে পরিবার বা সম্প্রদায় বাধা দিতে পারবে না।
এক্ষেত্রে অনেক সময় জাতপাতের বিচার চলে আসে। কখনও আবার এক সম্প্রদায়ের লোকজন কী ভাববে,সেই কথা ভেবেও পরিবারের লোক বিয়েতে বাধা দেয়। কিন্তু বিচারক সঞ্জয় কিষাণ কউল ও হৃষিকেশ রায় জানিয়েছেন,
“বিয়ে (Marriage) কখনওই সমষ্টির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে না। বিয়ে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সিদ্ধান্ত। তাঁরা যদি পরস্পরের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে পরিবার বা সম্প্রদায়ের কারও বাধা দেওয়ার কোনও অধিকার নেই। সামাজিক প্রতিষ্ঠা বা পারিবারিক সম্মান রক্ষার মতো বিষয়গুলি এক্ষেত্রে গণ্য হবে না। ”
সেইসঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পুলিস-প্রশাসন একটি গাইডলাইন প্রকাশ করবে এই বিষয়। কর্ণাটকের একটি মামলার শুনানিতে এদিন এই রায় জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিমানের ধাঁচে বিশ্বমানের পরিষেবা দেবে রেল, থাকবে একাধিক অত্যাধুনিক সুবিধা
বাড়িতে না জানিয়ে পছন্দের মানুষের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা। তারপর মেয়েটির বাড়ির লোকজন থানায় গিয়ে মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে বলে ডায়েরি করে। তদন্তকারী অফিসার (IO) ফোন করে বলেন, মেয়েটি বাড়িতে ফিরে না এলে পুলিস তাঁর স্বামীর নামে অপহরণের মামলা করবে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ” শিক্ষিত যুবসমাজ নিজেরাই নিজেদের জীবনসঙ্গী বেছে নেয়। এতে কোনও ভুল নেই। বিয়ের ক্ষেত্রে জাতপাত, সম্প্রদায়ের কোনও ভূমিকাই নেই।”
অনেক ক্ষেত্রেই স্রেফ জাতপাতের বিচার করে পরিবারের লোকজন ছেলেমেয়ের বিয়ে মানতে চায় না। এক্ষেত্রে আদালত নবীন প্রজন্মকে সহায়তা করতে চায় বলেই নতুন এই আইন বলে জানা যাচ্ছে৷