প্রয়োজন পড়লে নাকি আমেরিকা এসে মধ্যস্থতা করবে! এই আবেদনই করেছিলেন নাকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,একথা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমেরিকা যাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন। আর তারপরে এই ঘটনা জল গড়িয়ে যায় অনেক দূর, তবে ভারত সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই কথা বারবার অস্বীকার করে আসছিলেন। তবে এবার সোমবার দিন ফ্রান্সে G-7 শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে একথা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট বলে দেন কাশ্মীরসহ পাকিস্তানের সঙ্গে কোন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের কোনো হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না ভারতের। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকার কাছে নিজের মাথা নত না করে পাল্টা টাকে ভারতের অবস্থান মানতে রাজি করালেন ভারত প্রধানমন্ত্রী। তবে এবার মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মোদী। খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে বসে সেই বার্তা দিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর এর ফলে পাকিস্তান তো বটেই সাথে এদেশের বিরোধীরাও বিপাকে পড়লেন।
Repealing Article 370 is India's internal matter, Modi tells UN Secretary General
Read @ANI Story | https://t.co/WQsLcWxVAy pic.twitter.com/74ddlA0SBs
— ANI Digital (@ani_digital) August 26, 2019
United States after meeting of Prime Minister Narendra Modi & US President Donald Trump: President Trump reaffirmed the need for dialogue between India and Pakistan to reduce tensions and acknowledged India’s role as a critical partner in Afghanistan. pic.twitter.com/LTFPObjSNe
— ANI (@ANI) August 26, 2019
গত মাসে কাশ্মীর থেকে বিশেষ অধিকার প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সফরে গিয়েছিলেন পাক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান।আর তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে প্রথমবার মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই দিন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ব্যাপারে সম্মতি রয়েছে তবে তার এমন মন্তব্যের পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বিরোধীরা এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য আওয়াজ উঠতে শুরু করে। যেমন কি জানি স্বাধীনতার পর থেকে কাশ্মীর সহ পাকিস্তানের সাথে একাধিক ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক বলে অবস্থান গ্রহণ করে এসেছে ভারত।
আর এরপর ট্রাম্পের এরকম মন্তব্যের জেরে মোদি সরকার এর উপর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিরোধীরা এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলে তবে কি স্বাধীনতার পরবর্তী কাল থেকে যে ব্যবস্থা চলে আসছিল সে অবস্থান থেকে সরে এল কী মোদি সরকার? তবে নানান শোরগোলের মধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি বিবৃতিতে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কাশ্মীর মধ্যস্থতা নিয়ে কোনও কথা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। ফলে সম্মতি জানানোর প্রশ্নই নেই। আপাতত জি-7 সমিতিতে যোগ দেওয়ার জন্য ফ্রান্সেই রয়েছেন ভারত প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামিটের ফাঁকে সেখানেই আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার।
আর সেখানেই পাকিস্তানকে আরও খানিকটা কোনঠাসা করে মোদী কূটনৈতিক জয় নিয়ে এলেন ভারতের পক্ষেই। বুঝিয়ে দিলেন ভারত-পাক ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষকে বরদাস্ত করা হবে না।পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প কে সংবাদ মাধ্যম থেকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন গতকাল আমাদের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। মোদীজী জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে আছে। আমার বিশ্বাস ভারত-পাকিস্তান ভালো কিছু করবে।