সামনে আসতে চলেছে বাঙালির প্রিয় বসন্ত উৎসব। এই বসন্ত উৎসবে বৃন্দাবনে রাধা কৃষ্ণ হোলি খেলে। একথা মনে করে প্রতিটি মানুষ একে অপরের গায়ে রং লাগিয়ে দেয়। এই রং খেলার যেমন পৌরাণিক কাহিনী আছে তেমন আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও। এই হোলি উৎসবের আবির হল বসন্ত রোগের প্রতিষেধক। বসন্তকালে বসন্ত রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে এই আবির। এই হিসেবেই হয়তো হোলি খেলার প্রচলন হয়। এইবার অর্থাৎ ২০২১ সালের দোল পূর্ণিমার সময় আবহাওয়া অবস্থা কেমন থাকবে সেই বিষয় বেশ কিছু তথ্য জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
বসন্ত আসার সাথে সাথে পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে। মধ্যের দিনগুলো কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া সৃষ্টি হলেও আবার প্রতিদিনের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। এর মাঝে কি গরমের হাত থেকে নিস্তার দিতে বৃষ্টি আসবে?
বৃষ্টিপাতের কথাই এবার জানাল আবহাওয়া দপ্তর। রাজস্থানের উপরে অবস্থান করা ঘূর্ণাবর্ত এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর রাজস্থানের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে যে শুধু বৃষ্টি হবে এমন নয় বৃষ্টির সঙ্গে হবে শিলাবৃষ্টিও। এছাড়াও তাপমাত্রা কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই তুষারপাতের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখের বেশকিছু জায়গায় তুষারপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, এমনকি দিল্লিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে আমাদের বাংলায় যে কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে সে কথা কিছু জানায়নি আবহাওয়া দপ্তর।
আজ বুধবার কলকাতা শহরের সারাদিনের তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সকালে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ এবং রাত্রের দিকে আবছা আকাশ পরিলক্ষিত হতে পারে। এই বসন্তকালেই রোদ্দুরের তেজ এত বেড়েছে যে এখনি মনে হচ্ছে গ্রীষ্মকাল। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষের জীবন। চাতক পাখির মতো তারা চেয়ে আছে বৃষ্টির দিকে। কবে বৃষ্টি এসে এই ধরণীকে শান্ত করবে।