ক্যান্সার মানুষের সামনে এমন একটি দুঃস্বপ্ন যে স্বপ্ন মানুষ কোনদিনও দেখতে চায় না। সাধারণত অতিরিক্ত কোষ বিভাজনের ফলে সৃষ্টি হয় ক্যান্সার। এখনো 2018 সাল পর্যন্ত ক্যান্সারের কোন রকম ওষুধ চিকিৎসা বিজ্ঞানীর আবিষ্কার করতে পারেননি। প্রতিদিন নিত্য নতুন গবেষণা চলে এই ক্যান্সার রোগের ঔষধ বার করার জন্য,প্রতিদিন চেষ্টা চলে মানুষকে এই দুঃস্বপ্নের হাত থেকে বাঁচিয়ে আনার।কিন্তু জাপানের বৈজ্ঞানিক দপ্তর থেকে পাওয়া কিছু তথ্য বলছে যে , চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা “গোল্ডেন এগ” নামে এক ধরনের বিশেষ প্রকারের ডিমের আবিষ্কার করেছেন ।এই ডিম কোন কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা ডিম নয় । মুরগিই দ্বারা সৃষ্ট এবং মুরগি ডিম পাড়ে কিন্তু সেই মুরগির ডিএনএর মধ্যে, জিনগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে সেই মুরগির ডিমের ভেতর এমন কিছু অ্যাবিলিটি তৈরি করা হচ্ছে যা ক্যান্সারের সামনে রুখে দাঁড়াবার জন্য মানুষকে নতুন আসা দেখাতে পারবে।
এই মুরগির ডিমটিকে “গোল্ডেন ডিম বা সোনালী ডিম” নামে অভিহিত করা হচ্ছে, অবশ্য এই নামটি ডিমটির একটি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে এই বৈশিষ্ট্যটি হলো ডিমটি দেখতে অনেকটা সোনালী রঙের।জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এর একটি বায়োকেমিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের দপ্তরে ক্যান্সারের ঔষধ নিয়ে গবেষণা করা হয়। বিশেষ করে এই ডিমটির উপর বেশ কিছুদিন ধরে গবেষণা হচ্ছিল। জিনগত পরিবর্তনের ফলে মুরগির ডিমে সৃষ্টি হবে কিছু বিশেষ ধরনের প্রোটিন যা অতিরিক্ত কোষ বিভাজন আটকাতে সক্ষম। যার ফলে ক্যান্সার অনেকটা কমে যাবে এবং এছাড়াও এই দিনটি উপকারিতা দেবে হেপাটাইটিস বি এর মত কঠিন রোগ সারাতেও।
এই ডিম তৈরির একটি সাধারণ ধারণা হলো এরকম:- মুরগির ভ্রূণ থেকে সংগ্রহ করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কোষ থেকে।
জাপানের এই বিজ্ঞানিক সংস্থাটি তৈরি করেছে হিউম্যান ইন্টারফেরন বেটা । পরবর্তীকালে সৃষ্ট হিউমান ইন্টারফেরন বেটা কোষ গুলি প্রবেশ করানো হবে অন্য মুরগির ভ্রূণে। পরবর্তীকালে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্টি মুরগির ডিমে থাকবে ক্যান্সারের ওষুধ। এই ডিমে থাকবে উচ্চ পরিমাণে বিশেষ ধরনের প্রোটিন ,এক একটি ডিমে 30 থেকে 60 মিলি গ্রাম প্রোটিন বর্তমান থাকবে এই গোল্ডেন এগ গুলিতে। বিশেষ ধরনের ওষুধ ইন্টার ফেরনস এর ব্যবহার করে বিশেষ কিছু মুরগি শুক্রাণুর কিছু জিনগত বৈশিষ্ট্য বদলে ফেলা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকদের বক্তব্য এই ওষুধ বিভিন্ন রকম কঠিন অসুখ যেমন ক্যান্সার ,হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয় যখন রোগের মাত্রা সাধারণের থেকে বেশি হয়ে যায়। এই ওষুধটির 1 মিলিগ্রাম এর দাম হাজার ডলারেরও বেশি। গবেষণার প্রথম দিকে অর্থাৎ বর্তমানে ২০ টি বিশেষ মুরগি বর্তমান রয়েছে যেগুলি সাধারণ উপায়ে গড়ে প্রায়দিনই একটি করে ডিম পাড়ছে। বৈজ্ঞানিক মহল থেকে জানা যাচ্ছে গবেষণা শেষে ক্যান্সার প্রতিরোধে সম্পূর্ণ সৃষ্ট একটি ডিমের দাম প্রায় 4 থেকে ৫ লাখ হাজার ডলার হবে।