সামনে লোকসভা নির্বাচন, নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট যত সামনে আসছে গেরুয়া শিবির ততো সক্রিয় হচ্ছে । ইতিমধ্যেই তৃণমূল শিবিরে লাগলো আরেকটি বড় ধাক্কা, যদিও অনেক দিন থেকে অনেক তৃণমূল নেতা নেত্রী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কিছুদিন আগেই তৃণমূলের দলীয় নেতা মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূলের হাল অনেকটাই বেহাল হয়ে গেয়েছিল। এবার উত্তর ২৪ পরগনার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর দল ছেড়ে যাওয়ায় কথায় তৃণমূল শিবিরে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
দিল্লির এক কর্মসমিতির বৈঠকে অমিত শাহ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলীয় নেতা-নেত্রীদের জয়ের মন্ত্রণা দিয়েছেন। এই বৈঠকে প্রায় ১২ হাজারেরও অধিক দল কর্মীদের কিভাবে ভোটের রণনীতি তৈরি করা হবে তা নিয়ে শেখানো হবে । শুধু তাই নয়, ওই বৈঠকে ভোটের প্রচার নিয়েও ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী অনেকবারই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন । তখন থেকে ওনাকে দলে আনার আসা দেখেছিলেন সবাই। যদিও তার বিজেপি দলে যোগ নিয়ে তৃণমূল এর মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় জনতা পার্টির দলে নিজের নাম লেখানো ইচ্ছা থাকলেও , কিন্তু হয়তো কোন কারনে তিনি বিজেপি দলে যোগ দিতে পারেননি। যদিও বিজেপি এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়, শেষমেষ দীনেশ ত্রিবেদী কে নিজের দলে আনার জন্য মাঠে নেমেছেন দিল্লির সভাপতি মনোজ তেওয়ারি ।বিজেপির পক্ষ থেকে জানা গেছে, দীনেশ ত্রিবেদী সাথে তার দফায় দফায় অনেকবার আলোচনা হয়েছে এবং শেষমেষ তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির দলের নাম লেখাতে চলেছেন।
এবার শুধু দেখার বিষয় দীনেশ ত্রিবেদী কি আদেও বিজেপিতে যোগ দেবেন, আর বিজেপিতে যোগ দিলে কতটা তৃণমূলের ক্ষতি হবে তবে তা আগত লোকসভা ভোটে বোঝা যাবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলি এতটা নিশ্চিত যে কোন একটি সাংসদ দল ছেড়ে অন্য দলে যুক্ত হলে কিছুটা হলেও দলের ওয়েট কমে যাবে। এরকম আরো নতুন নতুন খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব পোর্টাল টিতে।