যবে থেকে গোটা বিশ্বে চীন ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে তবে থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে চীনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সকল দেশ গুলি চীনকে এই মুহূর্তে এক ঘরে করতে চাইছে। তাছাড়া মরণ ভাইরাস COVID-19 যবে থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারির আকার ধারণ করেছে তখন থেকে চীন এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক আরও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া কিছুদিন আগে গলওয়ান উপত্যকাতে ভারত চীনের মধ্যে যে সংঘর্ষ বাধে তার জেরে ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বেড়ে চলেছে দিন দিন।
যার ফলে ভারত সরকারের তরফ থেকে চীনা পণ্য বয়কট করা থেকে শুরু করে একাধিক কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এরকম এক আগ্ৰাসী মনোভাবের জন্যই আন্তর্জাতিক মঞ্চে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন। আর এবার বেজিংয়ের ওপর চাপ বাড়িয়ে মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে তোপ দাগল রাষ্ট্রসংঘ।গতকাল শুক্রবার দিন এই বিষয় নিয়ে ইউনাইটেড ন্যাশন হাই কমিশনার অফ হিউম্যান রাইটস (United Nation High Commissioner of Human Rights) এর তরফ থেকে বেজিংয়ের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হয়।
এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশেষ করে হংকংয়ের সি জিনপিং প্রশাসনের দমননীতির নিয়ে সবার হয়। আর ANI সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা মনে করেন হংকংয়ের গণতন্ত্রকামীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক হাতিয়ারও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে বেজিং এক্ষেত্রে। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি গত মে মাসে হংকংয়ের জন্য নতুন করে জাতীয় নিরাপত্তা আইন আনার কথা বলা হয়েছিল চীনের তরফ থেকে আর গত সপ্তাহে সেই আইনের রূপরেখা প্রকাশ করেছে বেজিং। এই আইন অনুযায়ী নতুন করে দপ্তর খোলা হবে হংকংয়ে, আর তার পাশাপাশি আইন লঙ্ঘনকারীদের বিচারের জন্য হংকংয়ের প্রশাসনিক ক্যারি ল্যাম নতুন বিচারক নিয়োগ করবেন খুব শীঘ্রই।
UN independent experts have repeatedly communicated with the Government of the People’s Republic of China their alarm regarding the repression of fundamental freedoms in China: Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights pic.twitter.com/oOu5yyf2Td
— ANI (@ANI) June 26, 2020
যেহেতু 6 সেপ্টেম্বর মধ্যে হংকংয়ের আইনসভার ভোট রয়েছে সেহেতু তার আগেই নতুন করে আইন চালু করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে এক্ষেত্রে। অন্যদিকে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা যে মত প্রকাশ করেছেন সেখানে তারা জানিয়েছেন এভাবে চীন হংকং এর উপর নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে নিজেদের রাস আরও মজবুত করতে চাইছে সেখানে। আর এতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রিটেন আমেরিকা সহ একাধিক দেশ।অপরদিকে চীনের দাবি তারা বিচ্ছিন্নতা, দেশদ্রোহী , সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশী হস্তক্ষেপের হাত থেকে হংকং কে বাঁচাতেই এই নতুন আইন আনতে চলেছে।তবে যাই হোক এরকম এক পরিস্থিতিতে হংকংকে নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই বয়ান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।