লাদাখ সীমান্তে বিবাদের জেরে ভারত, চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একাধিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে ভারত। চীনের সঙ্গে এবং চীনা মোবাইল অ্যাপস গুলোকে দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের মানুষ চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এবার আরো একটি বড়সড় ধাক্কা দেওয়া হল চীনকে। বিগত কয়েক মাস যাবৎ চীন থেকে পণ্য আমদানি করা কমিয়ে দিয়েছে ভারত।
শুধু তাই নয় চীনে ভারতীয় পণ্যের আমদানিও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকাকে ঘিরে সীমান্ত সমস্যা জোরদার হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জটিল হচ্ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস। কোভিড ১৯ কে কেন্দ্র করে দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধ হয়ে উঠেছিল। এর ফলে চীন থেকে আমদানি করা পণ্য সামগ্রিক পরিমাণ 13 শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে ভারত৷
ব্যাঙ্ক থেকে রেল সব চাকরিপ্রার্থীদের হায়রানি কমাতে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিলো মোদি সরকার..
চীনের দাবি জিনপিং সরকার লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনরকম হস্তক্ষেপ করেনি কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতে চিনা অ্যাপ ব্যান করা হয়েছে। চীনের সরকারী মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, যে করোনা মহামারীর জন্য ভারতের পণ্য সামগ্রীর প্রয়োজনীয়তা কমেছে। তাই চীন থেকে ভারতে রপ্তানি কম হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে প্রায় 60 বিলিয়ন ডলারের সামগ্রী রপ্তানি করেছে চীন। যেটা গতবারের তুলনায় প্রায় 13% কম।
অন্যদিকে ভারত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় 16 শতাংশ বেশি রপ্তানি করেছে। রাজনৈতিক চাপানউতোর থাকলেও ভারত থেকে আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে চীন৷ বেজিং এর ভারতীয় দূতাবাসের সংগৃহীত তথ্য অনুসারে 2019 সালে জৈব রাসায়নিক সার ও এন্টিবায়োটিকের বৃহত্তম রপ্তানিকেন্দ্র ছিল ভারত। ভারত থেকে চীনের আমদানি প্রথম এগারো মাসে ছিল প্রায় 19 বিলিয়ন ডলার।