বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে আইপিএল খেলা দেখার প্রবণতা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে একটানা খেলা দেখার ধৈর্য এখন অনেকটাই কমে গেছে ভারতবাসীর মনে। ছোট থেকে বড় সকলেই এখন এই টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলার প্রেমে পাগল। আইপিএলের রোমাঞ্চ বাড়ানোর জন্য এমন অনেক মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেখানে দর্শকরা সরাসরি ক্রিকেট দল তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
এই অ্যাপের মাধ্যমে ম্যাচ চলাকালীন আপনি একটি দল গঠন করতে পারেন এবং অর্থ বিনিয়োগ করে অর্থ রোজগার করতে পারেন। বুঝতেই পারছেন এটি একটি অফিশিয়াল জুয়া যেটি এখন অনেক মানুষ খেলতে পছন্দ করেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সরাসরি অর্থ উপার্জন করে রাতারাতি বড়লোক হয়ে যেতে পারেন। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা এই অ্যাপের মাধ্যমে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন।
বিহারের সারান জেলার বসবাসকারী রমেশ কুমার এমন একজন ব্যক্তি যিনি ড্রিম ১১ অ্যাপের মাধ্যমে একটি দল গঠন করেছিলেন এবং রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন। রমেশ কুমার পেশায় একজন গাড়িচালক। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে ড্রিম ইলেভেন নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিকেট দল তৈরি করেছিলেন এবং ক্রিকেট খেলেছিলেন কিন্তু কোনদিন তেমন উল্লেখযোগ্য ভাবে টাকা রোজগার করতে পারেননি।
এমতাবস্থায় মঙ্গলবার যখন পাঞ্জাব কিংস ইলেভেন এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টদের মধ্যে খেলা চলছিল, তখন রমেশবাবু কাগিসো রাবাদা এবং শিখর ধাওয়ানের ওপরে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। রমেশ বাবু নিজের ক্রিকেট দলে রমেশ রাবাদাকে অধিনায়ক এবং শিখর ধাওয়ানকে সহ-অধিনায়ক করে খেলা শুরু করেছিলেন।
এই খেলায় অধিনায়ক ৩ টি উইকেট নিয়েছিলেন এবং শিখর ধাওয়ান দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতে ছিলেন। রমেশের তৈরি এই টিম সারা দেশে বর্তমানে এক নম্বর স্থান অধিকার করে এবং রমেশবাবু কোটি টাকা উপার্জন করে ফেলেন রাতারাতি। খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে রমেশবাবু একটি বার্তা পান যেখানে লেখা ছিল তিনি দু’কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন যার মধ্যে তিনি সাথে পাবেন ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
রমেশবাবু মাত্র ৫৯ টাকা বিনিয়োগ করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান। তবে এই প্রতিবেদন আপনাকে কোন অ্যাপের সাহায্যে বিনিয়োগ করার জন্য অনুপ্রাণিত করছে না বরং এটি শুধুমাত্র একটি খবর।