Skip to content

মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল বেফাঁস কথা! ব্রিগেডে মমতা সহ অন্যান্য নেতাদের অস্বস্তিতে ফেললেন একমাত্র এই হেভিওয়েট নেতা।

আগামীকাল অর্থাৎ উনিশে জানুয়ারি কলকাতায় তৃণমূল সরকারের ব্রিগেড সভা ছিল। ওই সভায় আর পাঁচটা হেভিওয়েট নেতাদের মতো তিনিও বিজেপি কে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তবে শুরুটা যেভাবে হলেও কিছুক্ষণ পরেই হয় ছন্দপতন। এক হেভিওয়েট নেতার মুখ ফসকে একটি শব্দ বেরিয়ে যায় আর তাতেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় মঞ্চে উপস্থিত সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা। সবাই অবাক, হঠাৎ এটা কী বলছেন তিনি? বিগ্রেড এর দিন ওই কথাটি মুখ ফসকে বলে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরো নেতা মন্ত্রীদের একেবারে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিলেন হেভিওয়েট নেতা শরদ যাদব।


এই হেভিওয়েট নেতা নোট বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদি সরকার কে আক্রমণ করা শুরু করেছিলেন। তার আক্রমণের পুরোটাই ছিল মোদি সরকার কে নিয়ে। জিএসটির প্রসঙ্গ নিয়েও তিনি বলেন। এরপর বক্তৃতা দিতে হঠাৎ মাঝে তিনি বলে ফেলেন, “বোফোর্স এর মতন এত বড় দূর্নীতি কখনো দেখেনি দেশের মানুষ।” এটা বলার পরে ছন্দ পতন হয়ে যায় বক্তব্যের। ওখানে উপস্থিত সবাই বুঝে গেছেন তিনি মুখ ফসকে এই কথাটা বলে ফেলেছেন। যেহেতু তিনি ওখানে কথা বলেছেন তাই তার কথা কাটেনি কেউ। মঞ্চে উপস্থিত সমস্ত নেতা মন্ত্রীদের বুঝতে ভুল হয়নি যে এলজিডি নেতা শরদ যাদবের কোন জায়গায় বলতে ভুল হয়েছে। এরপর নেত্রী অর্থাৎ ব্রিগেডের সঞ্চালক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার হাত থেকে মাইকটা নিয়ে তার ভুল শুধরে দেন।


তিনি মঞ্চে বলেন,”শরদ যাদব আসলে বোফোর্স নয়, রাফাল বিতর্কের কথা বলতে চাইছিলেন।” একি ভাবে কথা বলে যাচ্ছিলেন যাদব তাই তিনি হয়তো নিজের ভুলটা তখন ধরতে পারেননি। তৃণমূল নেত্রী অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে একথা বললেন, তখন তিনি হেসে ফেললেন। তিনি বলেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ আমি রাফাল দুর্নীতির কথায় বলতে চাইছিলাম।” এর পরে মঞ্চে উপস্থিত সকল নেতা মন্ত্রীরা স্বস্তিতে আসে।