আজকের তরুণদের যদি প্রশ্ন করা হয় তিনি কৃষিক্ষেত্রে যেতে চান কি না, তাহলে তরুণদের প্রথম উত্তর হবে ‘না’, কিন্তু ১৯৮৬ সালে যখন মল্লিকা শ্রীনিবাসন ২৭ বছর বয়সে ম্যাসি ফার্গুসন ট্র্যাক্টর এবং খামার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ট্যাফেতে যোগদানের সুযোগ পান, তখন মল্লিকা শ্রীনিবাসন সেই প্রস্তাবে হ্যাঁ বলে দেন। নব্বইয়ের দশকে কৃষি খাতে যেকোনো অটোমোবাইল কোম্পানী পরিচালনা করা, যেকোনো নারীর জন্য বড় ব্যাপার ছিল।
অন্য নারীদের কাছে বড়ো ব্যাপার হলেও মল্লিকার কাছে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। এই পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময়, তাঁর পিতা তাঁকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন। ২০১২ সালে ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ফোর্বস এশিয়ার ৫০ জন শক্তিশালী ব্যবসায়ী মহিলার মধ্যে মল্লিকার নাম দেয়। ২০২১ সালে ফরচুনের শীর্ষ ১০০ শক্তিশালী নারীর তালিকায়ও মল্লিকার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মল্লিকা যখন ২৭ বছর বয়সে ১৯৮৬ সালে ট্যাফেতে যোগ দেন, তখন কোম্পানীর বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ৮৫ কোটি টাকা, কিন্তু মল্লিকা তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং তাঁর বাবা এবং ট্যাফে টিমের নির্দেশনায় কোম্পানীর আয় প্রায় ১৬০ কোটি আমেরিকা ডলার পর্যন্ত উন্নীত করে। মল্লিকা যখন ট্যাফেতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন শুধুমাত্র প্রাথমিক খামার সরঞ্জাম তৈরি করা হয়েছিল। মল্লিকা একক ধরনের যন্ত্রের সীমাবদ্ধতার সমস্যা বুঝতে পেরেছিলেন এবং এটিকে বৈচিত্র্যময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
মল্লিকা যখন কোম্পানীতে যোগদান করেন, ট্যাফে একটি সাধারণ দক্ষিণী কোম্পানী হিসেবে স্বীকৃত হয় এবং নিজের রাজ্যে কিছু স্বীকৃতি লাভ করে, কিন্তু মল্লিকা তাঁর কঠোর পরিশ্রমের জোরে সারা ভারতে এই কোম্পানীকে স্বীকৃতি দেন এবং উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্র্যাক্টর রানী হন। মল্লিকা ভারতীয় কৃষকদের সম্পর্কে বলেন, ভারতীয় কৃষকরা খুবই বুদ্ধিমান এবং দাবিদার। তারা বুদ্ধিমানের সাথে তাদের অর্থ ব্যয় করেন। এমতাবস্থায়, মল্লিকার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দাম না বাড়িয়ে ট্রাক্টরের পুরনো প্রযুক্তি, মডেল ও ডিজাইন পরিবর্তন করা।