গ্ল্যামারাস অভিনেত্রীদের কথা যদি সত্যি বলতে হয় তাহলে অবশ্যই বলতে হবে ৯০ দশকের অভিনেত্রীদের কথা। বিখ্যাত হওয়ার জন্য চড়া মেকআপ বা উগ্র পোশাকের কোন প্রয়োজন ছিল না তাদের। হালকা মেকআপ এবং সাথে মানানসই শাড়িতেই যে অসাধারণ অভিনয় করা যায় তা।বারবার দেখিয়েছিলেন এই অভিনেত্রীরা। চলুন আজকে এমনই দিন অভিনেত্রীদের কথা আমরা আরো একবার জেনে নেব এবং স্মরণ করব এই অভিনেত্রীদের সিনেমা গুলিকে।
হেমা মালিনী: হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হেমা মালিনী ড্রিম গার্ল নামে পরিচিত। আজও মানুষ ড্রিম গার্ল মানে হেমা মালিনী ছাড়া অন্য কাউকে চেনে না। ৭৩ বছর বয়সেও তিনি নিজে সৌন্দর্য দ্বারা মানুষকে মুগ্ধ করছেন। অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, জীতেন্দ্র, সঞ্জীব কাপুর, রাজ কাপুর এবং ফিরোজ খানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। ধর্মেন্দ্র হেমা মালিনীর সৌন্দর্যে এতটাই পাগল হয়ে গিয়েছিলেন যে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে নিজের প্রথমা স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে তিনি বিয়ে করেছিলেন হেমা মালিনীকে।
সানি দেওল এবং ববি দেওল হেমা মালিনীর সৎপুত্র। ইশা,অহনা এবং অভয় দেওল, ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর সন্তান। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও আমরা দেখিনি ড্রিম গার্ল নিজের এবং সৎ সন্তানের সঙ্গে কোন রকম ভেদাভেদ করেছেন। সৌন্দর্যের কথা বলতে গেলে হিমা মালিনী আজও নিজের পুত্রবধূ এবং নিজের মেয়েদেরও পিছনে ফেলে দেন।
অমলা আক্কিনেনি: অমলা আক্কিনেনি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রবীণ অভিনেতা নাগার্জুনের স্ত্রী। ১৯৯২ সালে এই নাগার্জুন দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ে করেন অমলাকে। আজ ৫৫ বছর বয়সেও তিনি নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন। প্রাক্তন সৎপুত্রবধূ সামান্তা রুখ প্রভুকেও পিছনে ফেলে দেন তিনি নিজের সৌন্দর্যের দিক দিয়ে।
জয়াপ্রদা: ১৯৮৬ সালে শ্রীকান্ত মেহেতাকে বিয়ে করেছিলেন জয়াপ্রদা। জয়াপ্রদা ছিলেন তৎকালীন অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন অসাধারণ সুন্দরী অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কখনো মা হননি। পরবর্তী সময়ে একটি ছেলেকে দত্তক নেন অভিনেত্রী। ৬০ বছর বয়সেও একই ভাবে সুন্দর জয়াপ্রদা। জয়াপ্রদার ছেলের নাম সিদ্ধার্থ। সৌন্দর্যের দিক দিয়ে যে নিজের পুত্রবধূকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন অনেকটাই এই অভিনেত্রী, তা বলাই বাহুল্য।