Skip to content

লোকসভা ভোটের আগেই হতে চলেছে বড় ঘোষণা, সারাদেশে কৃষকদের ঋণ মুকুব করতে পারে মোদি সরকার।

কংগ্রেসের পাঁচটি রাজ্যে জয়ের পর থেকে কিছুটা হলেও বিজেপির রথের চাকায় ব্রেক পড়েছিল ,কিন্তু মোদি সরকার ও এবার কারো থেকে পিছিয়ে নেয় সেটা আর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি প্রমাণ করে দেবেন। কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কৃষকদের কর মুকুব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তিনি ক্ষমতায় এসে তা কিছুটা হলেও পুরনো করেছেন। কিন্তু মোদি সরকার ও যে অন্য কারো থেকে পিছিয়ে নেই তিনি হয়তো তারই এবার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে ব্যস্ত। এখন  রাজনৈতিক  ্দলগুলির কৃষকদেরকে একটু বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এবার ঠিক তেমনি সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তিনিও এবার কয়েক লক্ষ কোটি টাকার কৃষকের কৃষি ঋণ মুকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সেই সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ হলো লোকসভায় মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে কৃষকদেরকে একটু বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করছেন ভারতে কৃষি শ্রেণীর মানুষেরা অধিক বসবাস করে তাই তাদেরকে গুরুত্ব না দিলে লোকসভা বৈতরনী উঠে দাড়ানো যাবে না । আমাদের ভারতবর্ষে প্রায় ২৫ কোটিরও অধিক কৃষি সম্প্রদায় বাস করেন অর্থাৎ ভারতের এক চতুর্থাংশ কৃষি শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে , তাই বিজেপি হোক বা কংগ্রেসই হোক এই সম্প্রদায় কে একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। আর দেওয়াও উচিত , শুধুমাত্র ঋণ মুকুব এর প্রতিশ্রুতিতে ৩টি রাজ্য বিজেপির হাতছাড়া হয়ে গেল। ভারতীয় জনতা পার্টির ঋণ মুকুব এর সিদ্ধান্ত হয়তো এই ভারতের ২৫ শতাংশ মানুষের মন জয় করে নেওয়ার একটি হাতিয়ার হিসেবে ধরতে চলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গত কিছুদিনে কংগ্রেস প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মুকুব এর জন্য রাজকোষ থেকে কৃষকদের ঝোলাতে ঢেলে দিয়েছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে ২০০৮ সালে ৭২ হাজার কোটি টাকার ঋণ মুকুব এর পর ২০০৯ কংগ্রেস লোকসভায় ক্ষমতায় ফিরে ছিল। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত কি সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিতে পারবে তা হয়তো আমরা আগত লোকসভা ভোটে এ দেখতে পাবো। শুধু ঋণ মুকুব করলে হবে না তার সাথে ফসলের ন্যায্য দাম দিতে হবে কৃষকদের, কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কেনা ইত্যাদির দিকেও নজর রাখবে সরকার কারণ , কৃষক সমাজ যেমন কোনো রাজনৈতিক দলকে দাঁড় করাতে পারে তেমনি কোন দলকে নিচে টেনে নামাতেও তাদের বেশি সময় লাগবে না।