নো ফ্লাই জোন, কথাটি মনে এলেই আমাদের পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কথা মনে পড়ে যায়। এই মন্দিরের ওপর দিয়ে কোন প্লেন যাওয়া তো দূরের কথা কোন পাখিও উড়ে যেতে পারে না। তবে এর পেছনে রয়েছে কিছু লুকিয়ে থাকা বিশ্বাস এবং সাইন্স। কিন্তু সাধারণত সামরিক ঘাটি বা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোন স্থানের উপর দিয়েই বিমান যাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে থাকে।
আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনারা জানবেন বিশ্বের এমন পাঁচটি জায়গার নাম যে সমস্ত জায়গার ওপরে বিমান ওড়া নিষিদ্ধ। কখনো এই স্থানগুলির ওপর দিয়ে একটি বিমানও কখনো যেতে পারে না বা বলা ভালো যেতে দেওয়া হয় না। কোন আধ্যাত্মিক বিশ্বাস বা সায়েন্স যাই হোক না কেন, বছরের পর বছর এমনই রীতি বা নিয়ম মেনে চলছে মানুষ।
তিব্বত: বিশ্বের ছাদ অর্থাৎ তিব্বতে রয়েছে অনেক উঁচু পর্বতমালা। মাউন্ট এভারেস্ট এবং K2 অবস্থিত এই তিব্বতে। এই অঞ্চল দিয়ে কখনো বিমান উড়ে যায় না যার পেছনে একটি কারণ রয়েছে এবং সেটি হল এই অঞ্চল দিয়ে ওড়ার সময় বিমানের ইঞ্জিন যদি কোন ভাবে থেমে যায় এবং নিচের দিকে নেমে যায় তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই স্থানে এমন কোন নিরাপদ জায়গা নেই যেখানে জরুরী অবতরণ করা যায় তাই এই স্থানের উপর দিয়ে কখনো ওড়ানো হয় না বিমান।
মক্কা: মুসলিমদের সব থেকে পবিত্র স্থান হল মক্কা এবং মদিনা। প্রতি বছর কয়েক হাজার মুসলিম এই স্থানে একত্রিত হন এবং হজ করতে যান। মক্কার উপর দিয়ে কখনো বিমান ওড়ানো হয় না। মুসলিমদের কাছে যেহেতু এই স্থান ভীষণ পবিত্র তাই তারা মনে করেন এই স্থানের উপর দিয়ে কখনো বিমান ওড়ানো উচিত না। যদি কখনো ভুল করেও কোন বিমান এই স্থানের উপর দিয়ে যায় তবে সে ক্ষেত্রে তাকে জরিমানা করা হয়।
তাজমহল: বিশ্বের ভালোবাসার প্রতীক এই তাজমহলের স্থাপনের পেছনে রয়েছে নানা কষ্ট, দুঃখ এবং যন্ত্রনা। সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম হলো তাজমহল। ভারত সরকার এই তাজমহলকে অনেক আগেই নো ফ্লাইং জোন হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছেন। বিমান ওড়ার ফলে যে কম্পন তৈরি হয় তার প্রভাব পড়তে পারে এই তাজমহলে, নিরাপত্তার স্বার্থে তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে।
মেসির বাড়ি: জানলে অবাক হয়ে যাবে স্পেনে গাভা শহরে যে বাড়িতে মেসি থাকেন, সেই বাড়ির উপর আকাশ পথে চলাচল করে না কোন অভিমান। নিরাপত্তা জনিত কারণে এই ব্যবস্থা নিয়েছেন স্পেন সরকার। বিমান উড়ার সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই অঞ্চলে কোন বিমান উঠানামা করে না শুধু মেসির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে।
আন্দিজ পর্বতমালা: পেরুর আন্দিজ পর্বতমালা সমুদ্র থেকে ৭ হাজার ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি ৬০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল যা ইনকান সাম্রাজ্যের প্রতীক। এটি একসময় সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল তাই পর্যটকদের প্রসার এবং পরিবেশ ভালো রাখার জন্য এই স্থানকে করে দেওয়া হয় নো ফ্লাইং জোন।