Skip to content

কর্নাটকের এই উদ্যোক্তা ২১ একর অনুর্বর জমিকে পরিণত করেছেন সবুজ বনে, পরিবেশ রক্ষার দিচ্ছেন বার্তা

পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে গাছ লাগানো খুবই জরুরী। আমাদের দেশে প্রতি বছর লক্ষাধিক চারা রোপণ করা হয়, কিন্তু রোপণের পর অনেক গাছ অনেক সময় শুকিয়ে যায়। অন্যদিকে কিছু মানুষ এর গুরুত্ব ভালো করে বোঝে এবং সকলে যাতে পৃথিবীতে সবুজের পাশাপাশি বিশুদ্ধ বাতাস পায় তার চেষ্টা করে। আজ আমরা এমন একজন পরিবেশ প্রেমীর সম্পর্কে বলতে চলেছি, যিনি ২১ একর অনুর্বর জমিতে সবুজের সমারোহ এনেছিলেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে।

বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সুরেশ  কুমার তাঁর মহৎ কাজ ও অক্লান্ত পরিশ্রমে অনুর্বর জমিকে সবুজ করেছেন। প্রায় ১০ বছর আগে কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার সাগর এলাকায় ২২ একর জমি কিনেছিলেন সুরেশ। সে সময় ওই জমি অনুর্বর ছিল কিন্তু বর্তমানে সুরেশ সেই অনুর্বর জমিটিকে প্রাকৃতিকভাবে সবুজে ভরা জঙ্গল করে তুলেছেন। প্রখ্যাত পরিবেশবিদ অখিলেশ চিপলি অনুর্বর জমিকে সবুজ করতে সুরেশ কুমারকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। এএনআইর সাথে কথোপকথনের সময় অখিলেশ বলেন যে, এই জঙ্গলের নাম দেওয়া হয়েছে “উষা কিরণ” ।

“উষা কিরণ” কথাটির অর্থ “সকালের সূর্যের রশ্মি”। ২২ একরের সবুজ অরণ্য ভরা জমিটি সুরেশের ১০ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। এখন এই সুন্দর বনে সব ধরনের প্রজাতির অস্তিত্ব রয়েছে। এর পাশাপাশি এই বন এখন পরিবেশবিদ ও ছাত্র ছাত্রীদের অধ্যয়ন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, এছাড়া বন্যপ্রাণীর প্রতি আগ্রহী ফটোগ্রাফাররা এই বনে এসে এখানকার ছবিগুলো তাদের ক্যামেরায় বন্দী করেন এবং এমন ধরনের জংগল তৈরী করার প্রতিশ্রুতি নেন।

২২ একরের সবুজ অরণ্য ভরা জমিটি সুরেশের ১০ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। এখন এই সুন্দর বনে সব ধরনের প্রজাতির অস্তিত্ব রয়েছে। এর পাশাপাশি এই বন এখন পরিবেশবিদ ও ছাত্র ছাত্রীদের অধ্যয়ন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, এছাড়া বন্যপ্রাণীর প্রতি আগ্রহী ফটোগ্রাফাররা এই বনে এসে এখানকার ছবিগুলো তাদের ক্যামেরায় বন্দী করেন এবং এমন ধরনের জংগল তৈরী করার প্রতিশ্রুতি নেন। অখিলেশের মতে, এই বনের সূচনা হয়েছিল মাত্র কয়েকটি জাতের চারা রোপণের মাধ্যমে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা বাড়তে থাকে।

বর্তমানে এই বনে এমন অনেক গাছপালা রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠছে। এর আগে ৫০ বছর বয়সী ডি সারাভানান তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে তামিলনাড়ুর ভিলুপারম জেলার প্রায় ১০০ একর অনুর্বর জমিকে বনে পরিণত করেছিলেন। সুরেশ কুমার পরিবেশের প্রতি তার দায়িত্ব পালনের সময় এই প্রচেষ্টাটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অন্যদেরও উচিত তাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখা।