পৌরসভা নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও ডেঙ্গুর উপদ্রব কমাতে পারেনি বলে মেনে নিয়েছেন পুরসভার হবু মেয়র ফিরাদ হাকিম। পুরসভার বিভিন্ন অঞ্চলে আনাচে -কানাচে জল জমে ডেঙ্গুর লার্ভার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ডেঙ্গুর লার্ভা যাতে না সৃষ্টি হয় তার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য। রাজ্যের তরফ থেকে সোমবার বিধানসভায় এক নয়া বিল পাস করানো হয়।এই বিল পাস করে পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ” অনেক চেষ্টার পরও ডেঙ্গি প্রকোপ কমানো যাচ্ছে না। তাই এক্ষেত্রে আমরা জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছি। কোন বাড়িতে যদি অহেতুক জল জমা হয়ে থাকে তাহলে পুরো আইন অনুযায়ী 1000 টাকা থেকে শুরু করে 1 লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।” তিনি আরো জানান, “যে এই নিয়ম চালু করার একটি কারণ হলো যে আমরা আরও বেশি সচেতন হতে চাই।” শুধু জমা জল নিয়ে নয় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা নিয়েও রাজ্য এবার কড়া পদক্ষেপ নেবে।
আর এর আগে এক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ খুবই সামান্য ছিল। তা এখন বাড়িয়ে দিয়ে সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার কলকাতাকে পুরোপুরি জঞ্জালমুক্ত করতে পুর আইন 338 নম্বর ধারায় কিছু বদল আনে রাজ্য সরকার। এ নতুন আইনে জরিমানার পরিমাণ এক ধাক্কায় 100 গুণ বাড়ানো হয়েছে পুরসভার তরফ থেকে। সর্বনিম্ন জরিমানা হয় 5 হাজার টাকা। কলকাতা ছাড়াও রাজ্যকে জঞ্জালমুক্ত করতে নতুন বিল পাস হলো বিধানসভায়। এ নতুন বিলাও জরিমানার পরিমাণ এক ধাক্কায় 100 গুন বানানো হয়েছে।গত সপ্তাহে যেখানে সেখানে থুথু ফেলা,পান বা গুটখার পিক ফেলা নিয়ে নবান্নের জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটা কমিটি গড়ে তুলেন। এবং এই কমিটি গড়ে তোলার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেন বাংলা কে ‘ক্লিন অন্ড গ্রীন’ করতে হবে।আর এর জন্য রাজ্যে আরও বড় কমিটি করে তুলতে হবে। এমনই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক উদ্বোধন হওয়ার কিছুদিন পরেই তা একেবারে রঙিন হয়ে ওঠে পান ও গুটকা পিকে। আর সেই খবর ভাইরাল হতেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। রবিবার প্রশাসনের তরফ থেকে নবান্ন সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালানো হয়। এদিন নবান্নের সামনেই পরিষ্কার করা হয় পানো গুটকা পিক ফেলা দেওয়াল গুলি। আর যাদের প্রশাসন থুতু ফেলতে দেখছে তাদের কে দিয়েই ঐ তুতু পরিষ্কার করাচ্ছে।