কঠিন অবস্থা পাকিস্তানের। কোনদিনই তেমনভাবে সচ্ছল অবস্থা না থাকলেও এমন অবস্থা যে কোনদিন হবে তা হয়তো কেউ ভাবতে পারেনি দুঃস্বপ্নেও। চিরকাল প্রতিবেশী দেশের থেকে সাহায্য চেয়ে এসেছে পাকিস্তান, কখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কখনো আবার চীনের কাছ থেকে। নিজেদের আর্থিক কাঠামো শক্তিশালী করার পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় পাকিস্তান ব্যয় করেছে প্রতিবেশী দেশের উপর হামলা করার উপরে তাই আজ এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পাকিস্থান।
প্রত্যেকদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে পাকিস্তানে। খাদ্যের দামের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা গেছে পাল্লা দিয়ে। অবস্থা এতটাই লাগাম ছাড়া হয়ে গেছে যে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রাত আটটার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সারা পাকিস্তান জুড়ে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কড়া বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে সে দেশে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারও আস্তে আস্তে কমে আসছে। বর্তমানে ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি রুপির দাম এক ধাক্কায় কমে গেছে অনেকটাই। গত বুধবার পাকিস্তানের মাটিতে এক ডলারের মূল্য ছিল ২৩০ পাকিস্তান রুপি, যা ২৪ ঘন্টার পর যা নেমে দাঁড়িয়েছে ২৫৫ পাকিস্তানি রুপিতে। অর্থাৎ এখন ১ হাজার পাকিস্তানি রুপির পরিবর্তে ৪ হাজার ডলারও পাওয়া যাবে না।
এমতাবস্থায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকে যাওয়ায় খাদ্যদ্রব্যের দাম আরো বেশি উর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, রপ্তানির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাওয়ায় এখন শুধু আমদানির উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হচ্ছে পাকিস্তানকে, যার ফলে টান পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারে।
বর্তমানে পাকিস্তানের মাটিতে এক বস্তা আটার দাম ৩০০০ টাকা, সেটাও যোগাড় করতে মানুষের না বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। এর মধ্যে আবার সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের রিজার্ভ ব্যাংক। অন্যদিকে দেশে চলা এই তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ দায়ী করছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তবে যতই দোষারোপ করা হোক না কেন এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে বেরোতে হবে সেটা জানেন না বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও।