Skip to content

কংগ্রেস আর মিডিয়া মিলে মূর্খ বানালো জনগণকে। মধ্যপ্রদেশে ৯১% কৃষকের হবে না লোন মাফ।

মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার আগে রাহুল গান্ধী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে “মধ্যপ্রদেশে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার 10 দিনের মধ্যে কৃষকদের লোন মাফ হয়ে যাবে। তিনি এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলেছিলেন।” ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সরকার গঠন হয়ে গেছে। এবং দুঃখের বিষয় হল যে 91% কৃষকের কৃষি ঋণ মাফ হবে না। গতকালই মধ্যপ্রদেশে নতুন মুখ্যমন্ত্রী কমলানাথ একটা কাগজে স্বাক্ষর করার পর থেকেই দেশের মিডিয়া এবং কংগ্রেসের আইটি সেল দাবি করেন যে কথা দিয়ে কথা রেখেছে কংগ্রেস ভোটের রেজাল্ট এর আগে কথা ছিল যে কংগ্রেস সরকারে এলে কৃষি ঋণ মুকুব করে দেওয়া হবে। আর কংগ্রেস আজ কৃষি ঋণ মুকুব করল।

মিডিয়া এবং কংগ্রেস চারিদিকে প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছে যে কংগ্রেস কৃষি ঋণ মাফ করে দিয়েছে। কিন্তু দেশের মিডিয়া এটা জানেন না যে কোন কোন শর্তের ওপর কৃষিঋণ মাফ করবে কংগ্রেস। তার মধ্যে একটি শর্ত হল যে সমস্ত কৃষকেরা দু লক্ষ টাকার নিচের ঋণ নিয়েছেন তাদের ই একমাত্র কৃষি ঋণ মুকুব করা হবে।আর দ্বিতীয় শর্তটি হল, লোন 31 শে মার্চ 2018 আগে নিতে হবে। অর্থাৎ যেসব কৃষকেরা 31 শে মার্চের পর লোন নিয়েছেন তাদের লোন মাফ করা হবে না। তাতে লোনের পরিমাণ যত টাকায় হোক। চাষিরা সাধারণত বীজ কেনার জন্য লোন নিয়ে থাকেন। আর জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর এই সমস্ত মাস গুলিতে কৃষকেরা বীজ কিনে থাকেন আর তখনই লোন নেন তারা। এখানে বেশিরভাগ কৃষকেরা শর্ত থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন।

শুধু এই দুটোর শর্ত নয় আরো হল যে লোন তাদের মাফ করে দেওয়া হবে যারা সিজনাল ফসলের জন্য লোন নিয়েছেন। অর্থাৎ যে সমস্ত কৃষকেরা চাষ করার জন্য ট্রাক্টর বা বোরিং মেশিন কেনার জন্য লোন নিয়েছেন তাদের কোন লোন মুকুব হবে না। যে কৃষকেরা রাষ্ট্রীয় ব্যাংক বা সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তাদেরই একমাত্র লোন মাফ করা হবে।
পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে এই সমস্ত শর্তগুলি আওতায় পড়ছে মাত্র 9% কৃষক। অর্থাৎ মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের মধ্যে মাত্র 9% মানুষের কৃষি ঋণ মাফ করা হবে। আর এতেই মধ্যপ্রদেশে কৃষকের মাথায় হাত। নির্বাচনী প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী কিন্তু কোন কৃষি ঋণ মুকুব করার জন্য শর্ত বলেননি। আর যখনই মধ্যপ্রদেশের সরকার গঠন করলেন সেই তিনি বিভিন্ন শর্তাবলী আরোপ করে দিলেন। আর পুরো ঘটনাটি না জেনে দেশের মিডিয়া প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছে যে কংগ্রেস সমস্ত কৃষিঋণ মাফ করে দিয়েছে।