কয়েক জন প্রার্থী নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া কে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাই শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিং স্থগিত রাখা হয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মঙ্গলবার এই মামলা নিষ্পত্তি করে দেওয়ায় শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিং প্রক্রিয়ায় আর কোন বাধা থাকল না। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর এসএসসি চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার এ নিয়ে বলেন, “পাঁচই ফেব্রুয়ারি নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং করা হবে।” এসএসসি তরফ থেকে এদিন হাইকোর্টে জানায় যে তারা নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকা ও প্যানেল একই সাথে প্রকাশ করেছেন।
সেই সঙ্গে ওই সংস্থার তরফ থেকে বিচারপতি রাজাশেখর বাবুর আদালতে প্রশ্ন করা হয় যে, শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম তো কোথাও লেখা নেই এর জন্য মেধা তালিকা ও প্যানেল আলাদা আলাদা করে প্রকাশ করতে হবে। আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ না করে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করায় কয়েকজন প্রার্থী বিচারপতি রাজাশেখর বাবুর আদালতে মামলা করেন। এরপর বিচারপতি নির্দেশ দেন, মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু এস এস সি মেধাতালিকা প্রকাশ না করায় আদালতে অবমাননার মামলা করা হয়। এই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, মেধা তালিকা বলে যেটি প্রকাশিত হয়েছে সেটি যদি আসল তালিকা না হয় তাহলে এসএসসির সচিবকে তিনি জেলে পাঠাবেন।
বিচারপতি এসএসসির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শুনে তিনি বলেন, সংস্থার সচিব ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ঠিক মানাচ্ছে না। তিনি মামলাটির সমাপ্ত করে দিচ্ছেন। এদিন এসএসসির আইনজীবী সুতনু পাত্র আদালতে জানান, যে তালিকা এসএসসি তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে সেটি মেধা তালিকা ও প্যানেল মিলিয়ে তৈরি । যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা মামলা করেছেন সেই সমস্ত চাকরি প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ তে কত নম্বর পেয়েছেন তা মামলাকারীদের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী কে জানিয়ে দেন সুতনু পাত্র। এরপর বিচারপতি দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বলেন, আলাদা আলাদা ভাবে মেধা তালিকা ও প্যানেল প্রকাশিত করতে হলে এসএসসির বিধি কে চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে।
প্রয়োজন মনে করলে তিনি তার করতে পারেন। শুধুমাত্র নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিং থমকে গিয়েছিল তা নয়। এর আগে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে মামলা করায় কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন প্রশ্ন একটাই, এইভাবে বারবার কেন ধাক্কা খাচ্ছে এসএসসি ? এর উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” অন্য দরজা যাওয়ার আগে আমাদের দরজা এলে আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। তিনি বলেন যে, আমি এখনও বলছি স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার সঙ্গে এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া টি হবে।” এরপর তিনি বলেন, “অন্য রাজ্যে যেমন ধীরে ধীরে বেকারত্ব বাড়ছে, তখন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে ধীরে ধীরে তেমনি বেকারত্ব কমছে।”