তথ্য অনুযায়ী 2016 সালে এক বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে কৃষিঋণ হিসেবে 58,561 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা মোট 651 অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। ‘দ্য ওয়্যার’ -এর তরফ থেকে তথ্য জানার অধিকার সংক্রান্ত একটি আবেদনে পেশ করা হয়।
তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য ঋণের তুলনায় কৃষিঋণের সুদের হারও কম এবং এই ঋণ পাওয়াও সোজা। যাতে গরিব চাষিরাও এই ঋণের সুবিধা নিতে পারে তাই এই ঋণের নিয়ম সহজ করা হয়েছে। এখন কৃষিঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার 4%।
এক কৃষক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কিরণ কুমার বীসা বলেন, “কৃষি-ব্যবসায় জড়িত এমন অনেক বড়ো বড়ো কোম্পানি কৃষিঋণের শ্রেণী ভূক্ত হয়ে ঋণ নিচ্ছে।
পিএসএল নীতি অনুসারে ছোট এবং গরিব চাষিদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক গুলির তাদের মোট ঋণের 18 শতাংশ কৃষি ক্ষেত্রে দেওয়ার কথা। কিরণ কুমার বলেন,” ব্যাঙ্কগুলি এই ঋণের একটা বড় অংশ কোন এক বড় সংস্থা বা বড় কোম্পানিকে দিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে গরিব চাষিরা এই ঋণের সুবিধা নিতে পারছে না।”
কৃষি বিশেষজ্ঞ দেবেন্দ্র শর্মা বলেন,”চাষিদের ঋণ দেওয়ার নাম করে বড় বড় কোম্পানি গুলি সস্তায় ঋণ নিয়ে নিচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানের নাম করা হচ্ছে আদেও তা হচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন কৃষকদের ঋণ দেওয়ার নাম করে কেন বড় বড় কম্পানিকে ঋণ দেওয়ার হচ্ছে।”