শব্দের দ্বারা “মা” এর মহিমাকে কখনো ব্যাখ্যা করা যায়নি আর যাবেও না। পৌরাণিক গ্রন্থতেও এই বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে , মায়ের মমতা অনুভব করার জন্য স্বয়ং ভগবান পৃথিবীতে আসার জন্য মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন। বলা তো এটাও হয় , পৃথিবীতে যদি কোনো ভগবান রয়েছে তাহলে সেটা হলো মা। কিন্তু আজকাল এই কলিযুগের সন্তানেরা মায়ের মমতা কি সেটাই জানেনা। প্রায়ই এ কথা শোনা যায় যে, এই কলি যুগের সন্তানেরা তার মাতা-পিতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন ।কিন্তু এখন দেশে মোদি সরকারের রাজ এবং তিনি মায়ের মাহাত্ম্য কতটা তা ভালো করেই জানেন, এই জন্য তিনি অনেক আইন ও বানিয়েছেন।
আজকে আমরা এমন একটি ঘটনা সম্বন্ধে জানাবো যেটা শুনে আশ্চর্য হয়ে যাবে অনেকে,একটি সন্তান তার মায়ের সাথে কেমন করে এরকম অপব্যবহার করতে পারে। এবং এটার পর সেই ছেলেটির কি রকম অবস্থা হলো সেটা জানলে আপনারা অবশ্যই বুঝবেন, যে দেশের শাসন ব্যবস্থা কতটা কড়া তাহলে আসুন আপনাদের সে বিষয়ে বলা যাক। এই খবর অনুসারে একটি স্থানে একটি ব্যাক্তি তার মাকে সর্বদায় একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখতো এবং সেই বৃদ্ধাটির বয়স অন্তত ৯০ বছর। শীতের কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপতে থাকা ওই মাটিও হয়তো কোনদিন ভাবেনি যে, তার আদরে বড় করা ছেলেটি ভবিষ্যতে তার সাথে এমনটা করবে। গত শুক্রবার এসডিএম পূজা অগ্নিহোত্রী সেখান দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছিলেন এবং তার চোখ হঠাৎই ওই বৃদ্ধা মহিলাটির ওপর পড়ে এবং তিনি সেখানেই তিনি তার গাড়িটি থামিয়ে দেন। এসটিএম গ্রামের নানা রকম সমস্যার পরিদর্শনের জন্য সেখানে গেয়েছিলেন।তিনি যখন পরিদর্শন করে ফিরছিলেন তখন হঠাৎই শিকলে বাধা প্রাপ্ত বৃদ্ধা মহিলাটির দিকে তার চোখ যায় এবং তিনি তৎক্ষণাৎ বৃদ্ধার কাছে যান।
কমবেশি ৯০ বছরের সেই ঠান্ডায় জর্জরিত হয়ে বাধা বৃদ্ধটিকে দেখে তিনি নিজেকে আটকিয়ে রাখতে পারলেন না। তিনি তৎক্ষণাৎ বৃদ্ধ মহিলাটির ছেলে এবং তার পরিবার পরিজনকে ডেকে পাঠালেন । ছেলেটি জানালো যে ,তার মা পাগল তাই তাকে বেঁধে রাখতে হয়। এই কথাটা শোনামাত্র পুজা অগ্নিহোত্রী রেগে গিয়ে পুলিশকে ডাকলেন এবং বৃদ্ধাটির ছেলেটিকে গ্রেফতার করালেন, এবং বৃদ্ধা কলাবতীকে তিনি চিরজীবনের জন্য শিকল থেকে মুক্ত করলেন।