সারা বাংলা জুড়ে তাপমাত্রার নিম্নগমন অব্যাহত।মঙ্গলরবার, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেও আরু কমল রাতের তাপমাত্রা (weather) । বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি । বৃহস্পতিবার সকালে তা কমে হয়েছিল প্রায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা অনেকটা কম। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে উত্তর ভারত জুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের উত্তর পশ্চিমাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী কয়েকদিন শৈতপ্রবাহ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে চলেছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘন কুয়াশা রয়েছে। দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নিচে নেমে গিয়েছে৷ এর প্রভাব পড়েছে ট্রেন ও বিমান চলাচলে।
আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ৩ দিন রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে আগামী ২৪ ঘন্টায় জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে৷ এই কারণে দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে নেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর৷
দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাতে আবহাওয়া শুকনো থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি রকমের কুয়াশা থাকবে বলে জানা যাচ্ছে৷ আগামী ৩ দিন রাতের তাপমাত্রা একইরকম থাকবে৷ শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে৷
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
আগের দিনের তাপমাত্রা বন্ধনীর ভেতরে দেওয়া হল।
আসানসোল ৮.২ (১০.৬)
বালুরঘাট ১০.৪ (৯.৮)
ক্যানিং ১২.৪ (১৩.৬)
বাঁকুড়া ১০.১ (১১.৬)
ব্যারাকপুর ১২.৩ (১১.৪ )
বহরমপুর ১৩.৪ (১৩.৬)
বর্ধমান ১০.৬
দিঘা ১২.৫ (১৪.৫)
কলকাতা ১৩ ( ১৪.১)
কোচবিহার ৮.৫ (৯.১)
দার্জিলিং ৩.২ (২.৮)
মালদহ ১০.২ (১০.৯)
পানাগড় ১২
পুরুলিয়া ৮.৩ (১০.৭)
শিলিগুড়ি ৭.২ (১১.৭)
শ্রীনিকেতন ৮ (১০.২ )