বর্তমান দিনে প্রথাগত বিদ্যা বেশি পরিমাণে দেখা যায়। বাড়ি থেকে পিঠে ব্যাগ বয়ে নিয়ে স্কুলে যাওয়া আবার ছুটির সময় ফিরে আসা এটাই চলতে থাকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রথাগতভাবে কিছু পাঠদান করে থাকেন যা সমস্ত পড়ুয়ারা সমানভাবে নিতে পারে না। ছোট ছোট কচি কাঁচারা সবাই সমানভাবে সেই পাঠ গ্রহণ করতে পারেন না। কিন্তু এই প্রথাগতভাবে পড়াশোনাটা আগে যদি অন্য ভাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে তুলে ধরা হয় তাহলে ব্যাপারটা খুব ভালো হয় তা বলা যেতে পারে।
প্রথাগতভাবে পড়ানোর থেকে সরে দাঁড়িয়ে এক নতুন ভাবে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন একজন শিক্ষিকা এই পদ্ধতিটি যে একেবারেই নতুন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।এই পদ্ধতিতে যদি অবলম্বন করা হয় তাহলে বই পড়া থেকে সেই জিনিস প্রত্যক্ষ করলেই আরো অনেক বেশি কিছু শিখতে পারবে সেই খুদে শিশুরা। তবে আর দেরি না করে বলা যাক সেই পদ্ধতিটির ব্যাপারে যেটি অবলম্বন করলেন এক শিক্ষিকা।
এই শিক্ষিকা শিশুদের পড়াশোনার ভাবনাকে মাথায় রেখে অ্যানাটমির মতো একটি কঠিন বিষয়টিকে সহজ পদ্ধতিতে শিশুদের বোঝানোর সিদ্ধান্ত নেন যার দরুন তিনি নিজেই পড়ে ফেললেন অ্যানাটমি পোশাক। স্পেনের এই শিক্ষিকা শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য প্রায় মাঝে মাঝেই নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। স্পেনের এই শিক্ষিকার নাম ভেরোনিকা ডোকিউ যিনি গত 15 বছর ধরে যুক্ত রয়েছেন এই শিক্ষাকতার সাথে।
শুধু তাই নয় এই পেশায় যুক্ত থাকার দরুন তার যথেষ্ট সুনাম ও রয়েছে। তিনি স্পেনের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকতার কাজ করেন, তিনি মূলত ইতিহাস, সমাজবিদ্যা, বিজ্ঞান, ইংরেজি ও স্প্যানিশ পড়ান। শিশু শিক্ষার্থীদের যাতে পড়াশোনায় মন বসে যার দরুন তিনি বিষয় অনুযায়ী অভিনব ভঙ্গি অবলম্বন করেন, অন্যদিকে অ্যানাটমির মতো একটি বিষয়ে যাতে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয় তার জন্য তিনি এইদিন অ্যানাটমির বিশেষ পোশাক পড়ে আসেন ক্লাসে।
এই পোশাকের বিশেষত্ব হল এই পোশাকের মধ্যেই রয়েছে পাকস্থলি, ফুসফুস, হৃতপিন্ড থেকে শুরু করে দেহের অন্তর্বর্তী সমস্ত ছোট বড় অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ছবি। যা দেখে এক নজরে শিশুরা মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নিয়ে নিজেদের একটা বিশেষ ধারণা তৈরি করতে পারবে।সেই সঙ্গে ভেরোনিকা ও সমস্ত অঙ্গের সাথে পড়ুয়াদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে থাকেন।তবে এ ঘটনায় তেমনভাবে প্রকাশ্যে আসতো না যদি না ভেরোনিকার স্বামী মাইকেল তার স্ত্রীর এরকম এক অভিনব ভাবে পড়ানোর দৃষ্টি ভঙ্গি দেখে নিজেই স্ত্রীর এই পোশাক পরা ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেন।
Muy orgulloso de este volcán de ideas que tengo la suerte de tener como mujer😊😊
Hoy ha explicado el cuerpo humano a sus alumnos de una manera muy original👍🏻
Y los niños flipando🤣🤣
Grande Verónica!!!👏🏻👏🏻😍😍 pic.twitter.com/hAwqyuujzs— Michael (@mikemoratinos) December 16, 2019
এইদিন মাইকেল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এই ছবিতে ক্যাপশন হিসাবে লিখেন,“আজ স্কুলে মানব শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে ব্যখ্যা করছিল ভেরোনিকা। ওকে স্ত্রী হিসাবে পেয়ে আমি খুবই গর্বিত।” এরকম এক ছবি টুইটারে পোস্ট করার পরেই নিমেষের মধ্যে সেটি ভাইরাল হয়ে যায় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।ভেরোনিকার এরকম এক অভিনব পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের পড়ানোর পদ্ধতিকে সকলেই প্রশংসা করেছেন।