ইতিমধ্যে দেশের ই-কমার্স ওয়েব সাইটগুলো দখল করে নিয়েছে বিদেশী সংস্থা অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট তবে সেই বিদেশী সংস্থা কে টেক্কা দেবার জন্য কিছুদিন আগে জিও তরফ থেকে WhatsApp-এর সাথে গাঁটছাড়া বেঁধে মুকেশ আম্বানির সংস্থা জিও নিয়ে এসেছে তাদের অনলাইন ই কমার্স ওয়েবসাইট Jio Mart, তবে এখন যে খবরটি বেরিয়ে আসছে সেখানে জানতে পারা যাচ্ছে এবার এই অনলাইন ই-কমার্স প্রতিযোগিতাতে নাম লেখাতে চলেছে ভারতের অন্যতম বড় সংস্থা টাটা গ্রুপ (TATA)।
এক্ষেত্রে টাটা সংস্থার জিও, অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্ট এর মতো সরাসরি ই-কমার্স বাজারের দিকে হাঁটতে চাইছে না বরং তারা বাজারে আনতে চলেছে একটি নতুন সুপার অ্যাপ, যেখানে এই সংস্থায় সমস্ত রকম পরিষেবা চলে আসবে একই ছাদের তলায়। বলে রাখা ভালো এরকম সুপার অ্যাপ মেচুয়ান অ্যান্ড গ্ৰাব খুবই জনপ্রিয় এবং সফলভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও চীনে। ভারতের বাজারে এ রকম আইডিয়া নিয়ে এর আগে কেউ পায় রাখেনি, তাই যদি সমস্ত দিক ঠিকঠাক থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে টাটা তাদের সুপার অ্যাপ আনতে চলেছে।
অন্যদিকে কিছুদিন আগে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ভারতের সমস্ত রকম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আগামী দিনে প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করার জন্য Jio Mart কে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন দেশের সমস্ত রকম ছোট-খাটো মাঝারি দোকান, স্টেশনারি দোকান, মুদি দোকান, হকার, ছোট ব্যবসায়ীদের একই ছাদের তলায় আনতে Jio Mart এর সাথে হোয়াটসঅ্যাপ মিলে তৈরি করা হবে নতুন ই-কমার্স মডেল। যার মাধ্যমে অনলাইনে স্থানীয় দোকান বা বাজার থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো অর্ডার দেওয়া যাবে। আর এক্ষেত্রে দাম মেটানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই,এক্ষেত্রে এই অর্ডার দেওয়া জিনিসগুলি বাড়ি পৌঁছে দেবার দায়িত্বে থাকবে জিয়মার্ট।
শুধু তাই নয়, এরকম পরিষেবা দেশজুড়ে চালু হওয়ার ফলে যারা বাড়ি থেকে বেরোতে পারে না ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, এটি অনেকখানি সুবিধা দায়ক হবে। তাছাড়া এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরাও ডিজিটাল কেনাবেচার ক্ষেত্রেও অভ্যস্ত হবেন।তাছাড়া লকডাউন কিংবা ভবিষ্যতে যদি কোন রকম সংকটের পরিস্থিতি আসে তাহলে বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে খাবারের জিনিস পত্রের অর্ডার দিতে পারবেন মানুষজন, তাছাড়া এর ফলে ডিজিটাল ব্যবসাও এক নতুন দিশা পাবে দেশে। আর এই ব্যবসার সাথে যেহেতু ছোট ব্যবসায়ীরাও যুক্ত হতে পারবেন সেহেতু তাদের রুজি রোজগারেও টান পড়বে না। অন্যদিকে গ্ৰাহকদেরও এর ফলে সুবিধা হবে কারণ খুব সহজেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র চলে আসবে বাড়িতে। এছাড়া এই ব্যবসাটি অনলাইন হওয়ার ফলে একাধিক ক্ষেত্রে নানান অফার মিলবে, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রেও মিলবে একাধিক ছাড়।