সারদা কান্ডে এবার নতুন মোড় আসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পেনড্রাইভ ও লাল ডায়রি তাদের হাতে পাওয়ার জন্য জোর কদমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করে এই বিষয়ে জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে জেরা করার কারন, সারদা কান্ডের পর রাজ্যের তরফ থেকে যে তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটির হেড ছিলেন রাজীব কুমার। তাই পুরো বিষয়টি রাজীব কুমার সিবিআই আধিকারিকদের বলতে পারবে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই সমস্ত বিষয় গুলি নিয়ে যখন জোর তর লড়াই চলছে ঠিক সেই সময় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের দাবি লাল ডায়রি বা পেনড্রাইভ সম্পর্কে কিছুই জানেননা তিনি।
কিন্তু এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এর প্রমাণ ছিল যে পেনড্রাইভ বা লাল ডায়রিতে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ছিলো। সে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমন নথি ছিল যেটাতে স্পষ্ট ভাবে প্রমান পাওয়া যায় যে, পেনড্রাইভ ছিল। সিবিআই সূত্রের খবর থেকে জানা যায়, সারদার কর্নধার সুদীপ্ত সেনের এক সময়ের ছায়া সঙ্গি দেবযানী মুখোপাধ্যায় প্রথম এই পেনড্রাইভ ও লাল ডায়েরির কথা জানায়। এছাড়াও সারদার এক প্রাক্তন মহিলা কর্মী পেনড্রাইভ ও লাল ডাইরির অবস্থানের কথা জানান। ওই মহিলা কর্মীর দাবি, মিডল্যান্ড পার্কে সারদার মূল অফিসে বিধাননগর কমিশনারেট তল্লাশি চালানোর সময় একটি পেনড্রাইভ ও কিছু হার্ডডিক্সের খোঁজ পায় ।এর পর সেই গুলি তারা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।এর পরেও কেন সুদীপ্ত সেন লাল ডাইরি ও পেনড্রাইভের কথা অস্বীকার করেছেন? এই জট খুলতে জোর কদমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিবিআই।
এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এই জট ছাড়াতে সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে দফায় দফায় জেরা করা হয়। এর আগে দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করার সময় লাল ডাইরি ও পেনড্রাইভের কথা উঠে আসে। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, এই পেনড্রাইভ ও লাল ডাইরির কথা দেবযানী যানান তাদের। সিবিআই মনে করছে এই লাল ডাইরি ও পেনড্রাইভ মিললে অনেক জট খুলে যাবে। তাই আরও একবার দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। জেরা করার আবেদন নেয়ে সিবিআই মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করেন। সেই মামলার শুনানিও হয়েছে। এই সারদা মামলায় সিবিআই এর পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর অর্থাৎ ইডি তদন্ত করছে। এই মামলায় সুদীপ্ত সেন থেকে শুরু করে একাধিক প্রভাবশালীদের জেরা করেছে ইডি।