Skip to content

রাহুল গান্ধীর আচরণের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহজন যা করলেন….

লোকসভার সদনের বৈঠকে রাহুল গান্ধী অনেক সময় সদনের মধ্যে নিয়ম ভঙ্গ করে থাকেন , যদিও তাকে বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার স্বভাবগত এর মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আবারো সদনের এক বৈঠকে রাহুল গান্ধীর এমন ব্যবহারের কারনে, সুমিত্রা মহাজনের প্রতীক্ষার বাঁধ ভেঙ্গে গেলো।নির্মলা সীতারামন এর জবাব এর মাঝে মাঝে কথা বলতে থাকেন রাহুল গান্ধী । তার পরিপ্রেক্ষিতেই সুমিত্রা মহজন রাহুল গান্ধীকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন,” সিতারামনের জবাব পূর্ণ হলেই রাহুল গান্ধীকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে এবং তিনি জবাবের মাঝখানে যেনো না কথা বলেন”।

এর উল্টো দিকে রাহুল গান্ধী বলে ওঠেন,” কালকে আপনি আমাকে অনিল আম্বানির নাম নিতে বারণ করেছিলেন”। সুমিত্রা মহজন তাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে বললেন, “অনিল আম্বানির নাম নিতে বারণ করা হয়েছিল কারণ অনিল আম্বানি সদনে উপস্থিত ছিলেন না তাই তিনি কোন জবাব দিতে পারতেন না “। কিন্তু রহুল গান্ধি কোন মতেই সুমিত্রা মহাজন কথা মানতে রাজি হলেন না, শুধু তাই নয় রাহুল গান্ধী সমর্থনে কিছু নেতাও এই ব্যাপারে আওয়াজ তোলেন। আর এর ফলস্বরূপ সুমিত্রা মহাজনের সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায় এবং তিনি সেখানে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়ে যান।যখন লোকসভার ডেপুটি স্পিকার থম্বীদুরুই সীতারমণকে প্রশ্ন করলেন যে ,’ বিজেপি সরকারে আগস্টা বেস্টলেড কোম্পানি থেকে একটি হেলিকপ্টার কেনার কথা হয়েছিল এবং সেটি বানানোর কাজ এইচএএল-কে না দেওয়ার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির ওপর প্রশ্ন তোলা হচ্ছে ?

আবার রাহুল গান্ধী এই প্রশ্নকে সমর্থন করে , খুশিতে আত্মহারা হয়ে থম্বীদুরুইকে চোখ মেরে ফেলেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর অবিশ্বাস প্রস্তাবের চর্চার সময়ও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে গলা মিলানোর পর চোখ মারার সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন।এইসব কারণের জন্যই, রাহুল গান্ধী হয়তো সুমিত্রা মহাজনের কাছে ততটা সুবিধার পাত্র নন। আর রাহুল গান্ধীর এই অভ্যাস গুলোনোর জন্য তাকে বারবার সমালোচনার শিকার হতে হয় ।