টলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে (tollywood) রুদ্রনীল ঘোষকে (rudranil ghosh) বয়কট (boycott) করার দাবি তুললেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী (soham chakraborty)। “টলিউডে মাফিয়ারাজ চলছে,” এই মন্তব্যের জন্যই ইন্ডাস্ট্রিতে সকলের উচিত রুদ্রনীলকে বয়কট করা, এমন বিষ্ফোরক দাবি তুললেন সোহম।
সম্প্রতি রুদ্রনীল বলেন, ” টলিউডে মাফিয়ারাজ চলছে। প্রযোজকদের গলায় বন্দুক ঠেকিয়ে অতিরিক্ত লোক নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। তারাও বসে বসে টাকা নিচ্ছে। ” এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন সোহম। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “লকডাউনে বহু মানুষ এই ইন্ডাস্ট্রির মুখ চেয়ে বসেছিলেন। ওই মানুষ গুলোর কর্মসংস্থানের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। রুদ্রনীল কি তাদের মুখ থেকেও খাবার কেড়ে নিতে চান? ”
এভাবে রুদ্রনীল ওই মানুষ গুলোকে অপমান করছেন বলেও মন্তব্য করেন সোহম। তিনি আরো দাবি করেন, ইন্ডাস্ট্রির সবার উচিত রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। তিনি যতক্ষণ সেটে থাকবেন ততক্ষণ কেউ যেন কাজ না করেন।
সোহম প্রশ্ন তুলেছেন, “এতদিন তৃণমূলে থেকে এসব বলেননি কেন রুদ্রনীল? এতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ‘মামনি’ বলে ডাকতেন। বিজেপিতে গিয়েই মায়ের নামে বাজে কথা বলতে শুরু করে দিলেন। ৩ লক্ষ টাকা মাসে মাসে পারিশ্রমিক নিয়ে রুদ্রনীল কি করেছেন,” প্রশ্ন তুলেছেন সোহম।
সম্প্রতি সোহমের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন জায়গা থেকে আইওএস ডিভাইসের মাধ্যমে হ্যাক করা চেষ্টা হয়। তাঁর ফলোয়ার ৯ লক্ষ থেকে কমে গিয়ে হয় ২ লক্ষ। গত ১৯ অক্টোবর থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সোহমের করা সব পোস্টও ডিলিট করে দেওয়া হয়।
শ্রমিক আইনে আসছে বড়োসড়ো পরিবর্তন এবার থেকে ১৫ মিনিট অতিরিক্ত কাজ করলেও মিলবে পারিশ্রমিক
ফেসবুকে লাইভ করে অনুরাগীদের বিষয়টা জানিয়েছেন সোহম। তিনি বলেন, “যারা তাঁকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তারা কখনোই সফল হবে না।” এই বিষয় বেহালা ও লালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সোহম। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিস।