আজ আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে জড়িত একটি নেত্রীর সম্মন্ধে আলোচনা করবো, তাকে হয়তো আপনারা অবশ্যই চিনে থাকবেন।আজকে আমরা আলোচনা করছি “স্মৃতি ইরানি” এর সম্মন্ধে , যিনি কেবলমাত্র বিজেপির ভালো নেত্রীয় নন তিনি একজন প্রখর এবং তীক্ষ্ম বক্তাও।যদিও ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে স্মৃতি ইরানি রাহুল গান্ধীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন তা সত্ত্বেও বেজেপির নেতৃবৃন্দ তাকে মন্ত্রী পদ থেকে হাটাননি। খুবই কম লোকই জানেন যে ,তিনি পারসির সঙ্গে প্রেমে আবদ্ধ হয়ে বিবাহ করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি নিজের সিঁথিতে সর্বদা সিঁদুর লাগান। এই বিষয়ে স্মৃতি ইরানি নিজেই বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন।
আপনাদের জানিয়ে দি যে,স্মৃতি ইরানি জুবিন ইরানির সঙ্গে প্রেম বিবাহ করেছেন এবং তাদের প্রথম থেকেই একে অপরের সঙ্গে চেনা পরিচিতি ছিল। জুবিন ইরানি প্রথমে স্মৃতি ইরানির বন্ধু মোনার সঙ্গে বিবাহ করে এবং পরে ২০০১ সালে তাকে ডিভোর্স দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় এবং পরে স্মৃতি ইরানির সঙ্গে বিবাহ করেন। জুবিন পেশায় একজন অনেক বড়ো ব্যাবসায়ী এবং তিনি অত্যন্ত ধনী ব্যাক্তি । এইসময় রাজনীতিতে গোত্র বলার ট্রেড চলছে এবং কিছু সময় আগেই রাহুল গান্ধী ও নিজের গোত্রের সম্মন্ধে জানিয়েছিলেন , এবার স্মৃতিও নিজের গোত্রের সম্মন্ধে জানালেন সেইসঙ্গে স্মৃতি এটাও জানালেন যে , তার পিতার গোত্র হল কোশল এবং তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন তাই তার গোত্রও কোশল।স্মৃতি ইরানি টুইটারে শেয়ার করে জানিয়েছিলেন যে, পারসি ধর্ম গ্রহণ করার পরও তিনি কেনো সিঁদুর পরেন ।
তিনি জানালেন যে, তার স্বামী পারসি সেইজন্য তার সন্তানেরাও পারসি কিন্তু তিনি হিন্দু ধর্ম মানেন অর্থাৎ তিনি এখনো পর্যন্ত হিন্দু ধর্মের প্রতি আস্থা রাখেন, এই কারণেই তিনি সিঁদুর পরেন। আর হিন্দু ধর্মের এই আস্থাটিই তার মধ্যে রয়েছে। তাই বলা ভুল হবে না, স্মৃতি ইরানি একজন ভালো নেত্রীর সাথে সাথে ভালো মানুষও। তার এই কার্য থেকে প্রমাণ হয়ে যায় তিনি হিন্দু ধর্মের প্রতি কতটা আবেগপূর্ণ। এবং তার স্বামী পার্সি হলেও তিনি হিন্দু ধর্ম থেকে দূরে সরে যাননি। খবরটি ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরো নতুন নতুন খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব পোর্টালটি তে।