পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ যত এগিয়ে আসছে,প্রার্থীরা ততই একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন এবং এরই মধ্যে পাঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতি এবং প্রার্থী নভজ্যোত সিং সিধুর কন্যা রাবিয়া সিধু পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে নিশানা করেন এবং বলেন তাঁর বাবার সামনে দাঁড়ানোর মতোও যোগ্য নন চরণজিৎ। বাবা সিধুর জয়ী না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না করার কথা বলে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাবিয়া।
২৬ বছর বয়সী রাবিয়া সিধুকে ২০২১ সালের মে মাসে, কৃষকদের আন্দোলনের সময় পাতিয়ালায় নিজের বাড়ির ছাদে কালো পতাকা তুলতে দেখা যায়। রাবিয়া একজন পেশাদার ফ্যাশন ডিজাইনার। সিঙ্গাপুরে ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার পর লন্ডন থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইন্টারনেট মিডিয়া বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় থাকেন। এখানে তিনি বিভিন্ন স্টাইল এবং পোশাকে তাঁর ছবি পোস্ট করতে থাকেন। তিনি যে ধরনের গ্ল্যামারাস ছবি পোস্ট করেন, তাতে তিনি বলিউডের যেকোনো অভিনেত্রীকে হার মানাতে পারেন।
রাবিয়া তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা পাতিয়ালার ইয়াদবিন্দর পাবলিক স্কুল থেকে করেন এবং তারপরে তিনি দিল্লি চলে যান। তবে গত কয়েকদিন ধরে তিনি তাঁর বাবা নভজ্যোত সিং সিধুর বিধানসভা কেন্দ্র অমৃতসর পূর্বে তাঁর নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর আগে কৃষকরা যখন তিনটি কৃষি আইনের জন্য আন্দোলন করছিলেন, তখন রাবিয়া সিধু তাঁর বাবা নভজ্যোত সিং সিধুর সাথে সক্রিয় ছিলেন। ২৬সে মে, রাবিয়া সিধু অমৃতসরে তার বাড়ির ছাদে একটি কালো পতাকা তুলেছিলেন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। এই পতাকাটি পরে নামিয়ে আনা হয় যখন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করা হয়।
এর আগে সিধু যখনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি একজন সেলিব্রিটি মুখ হিসাবে লড়াই করেছিলেন, কিন্তু এবার সিধু একজন রাজনীতিবিদ পাঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে ময়দানে রয়েছেন, তাই এই নির্বাচনে তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জগুলি আরও বেশি। রাবিয়াও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে এবং তাঁকে দেখা গেছে মজিথিয়া ও চন্নিকে আক্রমণ করতে। পূর্ব অমৃতসরে নভজ্যোত সিধু এবং আকালি দলের বিক্রম সিং মজিথিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিধুই, মজিথিয়াকে, মজিথিয়া সম্প্রদায় ছেড়ে পূর্বে আসার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং মজিথিয়া সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। এই কারণেই নির্বাচনী দাঙ্গার আগে সিধু দম্পতির পাশাপাশি তাঁদের মেয়েও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রচার কার্যে। ইন্টারনেট মিডিয়ায় রাবিয়া সিধুর প্রচুর ফলোয়ার রয়েছে, এর সুফল পেতে পারেন সিধু। নির্বাচনী প্রচারণার সময় রাবিয়া স্পষ্টত জানান, বাবা জয়ী না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিয়ে করবেন না।