রাজ্যে আরোও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেন মুকেশ আম্বানি। বিশ্ববাংলা সম্মেলনে এসে রাজ্যে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেন মুকেশ আম্বানি। আপনাদের বলে রাখি এই মুহূর্তে রাজ্যে রিলায়েন্সের 28 হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজারহাটে বিজনেস সমিতিতে রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি হাজির হয়ে রাজ্যে আরো 10 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেন। এদিন বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মধ্য থেকে মমতা ব্যানার্জির প্রশংসা তুলে ধরলেন মুকেশ আম্বানি। তিনি বললেন দিদির হাত ধরে বাংলা অনেক বদলে গেছে এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে বদলাবার। আর এই বদল এর সূত্র ধরেই আমরা পরবর্তীকালে ডিজিটাল বাংলায় বিপ্লব ঘটাবো।
গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে জিও পরিষেবা বাংলায় আরো নিয়োগ করা হবে 10 হাজার কোটি টাকা যার দরুন এক লক্ষ্য কর্মসংস্থান গড়ে তোলা হবে বাংলায়। জিও ডিস্ট্রিবিউশন এবং লজিস্টিক হাব এর মাধ্যমে বাংলায় প্রথম দফায় 50 হাজার কর্মসংস্থান গড়ে তোলা হবে। এদিন সকালে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটির উদ্বোধন করেছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিজনেস সামিটির মধ্যে রয়েছে দেশ-বিদেশের নামকরা শিল্পপতিরা। রাজ্যে আরও বেশি করে শিল্প কর্মসংস্থান গড়ে তোলার উদ্যোগে বৃহস্পতি বার থেকেই আয়োজন করা হয়েছে গ্লোবাল বিজনেস সামিটির। তবে এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে এবারের এই সামিটিতে ইতালি, ইংল্যান্ড,ফ্রান্স,জার্মানি,বাংলাদেশ সহ 36 টি দেশের প্রায় চার হাজার প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন। এবার এই সমিতির মধ্যে থাকছে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতেরা তবে কোন প্রকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকছে না এই সামিটিতে।
বাংলায় অনেক সুবিধা রয়েছে বাণিজ্যিক হয়ে ওঠার বাংলা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রবেশ পথ, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের সঙ্গে পাশাপাশি ভাবে অবস্থান করছে সীমান্তের মাধ্যমে ব্যবসা করার জন্য খুবই উপযোগী মাধ্যম হল এই পশ্চিমবাংলা। বেঙ্গল মিন্স বিজনেস শিরোনাম কে যথাযথ প্রমাণিত করে চতুর্থ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে 145.94 বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব গৃহীত করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বাংলা ভারতবর্ষে একটি নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া যাতায়াত ব্যবস্থা খুব কম হবে যা বাণিজ্যিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বাংলা পাঁচটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সিল্ক রোড হিসাবে নিজেকে ব্যবহার করতে পারে বলে জানতে পারা গেছে।
আগের বছরের ন্যায় এ বছরও চীন থেকে বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল আসার কথা রয়েছে। চিনা বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলা কারণ চীন ভারতকে আমদানি এবং বিনিয়োগের পার্টনার হিসাবে পেতে আগ্রহী। এছাড়া জানতে পারা গেছে চীন ছাড়া ইউনাইটেড কিংডম,লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশ থেকেও প্রতিনিধিরা আসছেন এই সামিটিতে।