এখন আমাদের পশ্চিমবঙ্গে আলাদা করে কোন ঋতুর স্থান নেই। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা পুরোটাই বর্ষাকাল। গ্রীষ্ম কাল হোক অথবা শীতকাল, মাঝে মাঝেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। চলতি বছরই শীত আমাদের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে কিছুটা দেরি করে শুধুমাত্র পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে উত্তুরে হাওয়া সেইভাবে প্রবেশ করতে পারেনি আমাদের পশ্চিমবঙ্গে সঠিক সময়ে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে যাওয়ার পর কিছুটা শীত উপভোগ করল গোটা ভারতবাসী। কিন্তু এবার বাসন্তী উৎসবের সময় আরো একবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উপস্থিত হয়েছে আমাদের রাজ্যে। আরো একবার উৎসবের মরসুমে বাধা সৃষ্টির জন্য আসতে চলেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সরস্বতী পুজোর আগেই উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর।
আগামী দুদিন হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশাও থাকবে বলে জানা গেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে আজ কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও ৩ তারিখ হালকা বৃষ্টি হবে বলে জানা গেছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলা যেমন উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি কলকাতাসহ পশ্চিমের জেলা যেমন বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূমে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে সরস্বতী পূজার দিন থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমে যাবে বলে জানা গেছে। কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে কিন্তু দুপুর বেলা থেকেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। রাতের তাপমাত্রা সরস্বতী পুজোর দিন থেকে আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। আগামী ৩ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে ২ থেকে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলা যেমন দার্জিলিং, কালিংপং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং এ শিলা বৃষ্টি হতে পারে। ৩ তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাত চলবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের রাতের তাপমাত্রাও আগামী ২-৩ দিনে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর।