আমরা হয়তো আগে শুনেছি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন,জিএসটি কমানোর কিছু কিছু পণ্যের। তিনি বলেছিলেন 28 শতাংশ থেকে কমিয়ে 18 শতাংশ করা হবে। আর শনিবারে এই পথেই বেছে নিল জিএসটির কাউন্সিল। শনিবারে নয়াদিল্লি বিজ্ঞানভবনে জিএসটি কাউন্সিলর এর 31 তম বৈঠক ছিল। আর এই বৈঠকেই মোট 33 টি পণ্যের উপর জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত নিল জিএসটি কাউন্সিল।কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি উপস্থিত থেকেই ঠিক হয়েছে যে কেবলমাত্র বিলাসবহুল পণ্যের ক্ষেত্রে 28 শতাংশ কর চাপানো হবে। বাকি ক্ষেত্রে 8 শতাংশ বা তার কম কর চাপানো হবে।
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে মোট 33 টি পণ্যের উপর কর কমানো হচ্ছে। এই পণ্যগুলো এক্ষেত্রে 18 শতাংশ থেকে কমে 12% ও 5% হয়ে যাচ্ছে। অরুণ জেটলি জানিয়েছেন এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে পয়লা জানুয়ারি থেকে। জিএসটি কাউন্সিলর গঠন হয়েছিল 2016 সালের 15 সেপ্টেম্বর। 2017 সালের 1 জুলাই এর মধ্যরাত থেকে সারাদেশে জিএসটি চালু হয়। দু বছরে মোট 30 বার বৈঠক হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের। আর গত দু’বছরের মধ্যে 979 টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলর তরফ থেকে। বৈঠক শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন যে, এই নতুন নিয়মে 34 টি পণ্যের উপর 28 শতাংশ কর ধার্য করা হবে। আর এই পণ্যের সবকটি হলো বিলাসবহুল পণ্য। এছাড়াও কোন কোন পণ্যের উপর পরিষেবা কর কমানো হচ্ছে, সেই সমস্ত পণ্যের তালিকা দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক,টিভি স্ক্রিন, মনিটর,টায়ার, লিথিয়াম ব্যাটারির জিএসটি 28 শতাংশ থেকে কমিয়ে 18 শতাংশ করা হচ্ছে । এরপরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ওপর জিএসটি আরও 5 শতাংশ নেওয়া হবে। সিনেমার টিকিটের ক্ষেত্রে জিএসটি পরিবর্তন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। 100 টাকা পর্যন্ত সিনেমার টিকিটের 12 শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি বসানো হবে। আর 100 টাকার বেশি দাম হলে জিএসটি নেওয়া হবে 18 থেকে 28 শতাংশ পর্যন্ত।
সিমেন্ট এবং অটোমোবাইল পার্টস এর ক্ষেত্রে জিএসটির কোন পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন। এর কারণ হলো যে এই দুই জিনিশের কর কমিয়ে দিলে সরকারের প্রায় 33 হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব ক্ষতি হবে।
এছাড়া অরুণ জেটলি বলেন, জি এস টি কাউন্সিল সাত জনের একটি মন্ত্রী গোষ্ঠী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই মন্ত্রিগোষ্ঠী কেবলমাত্র রাজস্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এদিন বৈঠকে জিএসটি নিয়ে যে আলোচনা হয় তাতে সরকারের সব মিলিয়ে মোট 5500 কোটি টাকার রাজস্বের উপর প্রভাব পড়বে।