Skip to content

বিজেপির বিরুদ্ধে করা গুরুতর অভিযোগের যোগ্য জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নরেন্দ্র মোদীর ‘পাখির চোখ’ এখন 2019 এর লোকসভা নির্বাচন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই লোকসভা নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে তিনি নতুন বার্তা দিলেন।
রাম মন্দির –এক সংবাদ সংস্থা এএনআই কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, শীর্ষ আদালতের রায় দেওয়ার পরে রাম মন্দির নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নোটবন্দি – এটি নরেন্দ্র মোদীর নেওয়া সিদ্ধান্ত গুলির মধ্যে সবথেকে কঠিন সিদ্ধান্ত। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, এটা কোন ধাক্কা নয়। আমি মানুষকে এক বছর আগেই জানিয়েছিলাম যে যাদের কাছে কালো টাকা রয়েছে তারা এই টাকা ব্যাংকে জমা করুক। তারা যদি সরকারকে কর দিতো তাহলে তাদের সুবিধা হত।

উর্জিত প্যাটেল –উর্জিত প্যাটেল হলেন রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর। তার অবসর নেওয়াকে কেন্দ্র করে মোদী বলেন, উনি ইস্তফা দেওয়ার 6-7 মাস আগে তার ইচ্ছার কথা আমাদের জানিয়েছিলেন। এমনকি তিনি লিখিত ভাবেও জানিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে কোন রাজনৈতিক ব্যাপার নেই। উনি যতদিন ছিলেন রিজার্ভ ব্যাংকের জন্য অনেক কাজ করেছেন।
আয়ুষ্মান স্বাস্থ্যবীমা – সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত গুলির মধ্যে এটিও একটি সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। যদি গরীব মানুষেরা 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত যোজনার স্বাস্থ্য বীমা পেয়ে থাকেন তাহলে এর থেকে বড় সিদ্ধান্ত আর কি হতে পারে। সেই হিসেবে 2018 সাল সফল বছর। কত গরিব মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছে এর জন্য। তাহলে 2018 সাল কে সফল বলায় চলে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক – এ নিয়ে মোদি কড়া মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,মাত্র একটা লড়াইয়ের পাকিস্তান শুধরে যাবে এটা ভাবা সবথেকে বড় ভুল হবে। পাকিস্তানকে শোধরাতে একটু সময় তো লাগবেই।

গান্ধী পরিবার – এই সম্পর্কে মোদী বলেন, এটা জানা উচিত যে তারা প্রথমে পরিবারের কথা ভাবে। তারা 4 প্রজন্ম ধরে দেশ চালাচ্ছে। প্রচুর আর্থিক দুর্নীতিতে জর্জরিত থাকার সত্বেও তারা জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাদের সাথে কিছু লোক রয়েছে যারা সত্যি কে লুকিয়ে রেখে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিন রাজ্যের পরাজয় – পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মোদী বলেন, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামে বিজেপি কে সুযোগ দেয়নি সাধারণ মানুষেরা। ছত্রিশগড়ে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। কিন্তু রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ অর্থাৎ বাকি দুই রাজ্যে ত্রিশঙ্কু তৈরি হয়েছে। প্রায় 15 বছর ধরে সরকার বিরোধী হাওয়া চলায় এই পরাজয় হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

নীরব-মালিয়া – এদের জন্য মোদি সরকার কে অনেক কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। আর তাই ঋণে ডুবে যাওয়ার পর ভারত ছেড়ে পলাতক ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে তিনি কড়া বার্তা দেন। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে যারা টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তাদের আজ নয় কাল নিয়ে আসা হবেই।  এ বিষয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলছে। তাদের দেশে এবং বিদেশে থাকা সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। দেশ ছেড়ে পালানোর মাশুল কড়ায় গণ্ডায় তুলে নেবো।
জিএসটি – অনেকদিন আগেই জিএসটি নিয়ে রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করে বলেন ‘গাব্বর সিং টেক্স’ । আর এ কটাক্ষের পাল্টা জবাবে মোদীজি বলেন, যার যেমন ভাবনা তার তেমনই উক্তি! কিন্তু এটা জানা উচিত যে জিএসটির প্রক্রিয়া কংগ্রেসের আমল থেকে শুরু হয়েছিল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই এই জিএসটির প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল। জিএসটি নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে তাদের নিয়ে সমালোচনা করছে কংগ্রেস।

ললিপপ কটাক্ষ – কংগ্রেস কথা দিয়েছিল যে তারা জিতলে তিন রাজ্যের কৃষি ঋণ পুরোপুরি মুকুব করে দেওয়া হবে। আর এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে ললিপপ বলেছিলেন তার কারণ হলো, ওরা দাবি করেছিল যে সমস্ত কৃষিঋণ তারা মুকুব করে দেবে। কিন্তু তারা পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলেছে। সত্যিটা হলেও বাস্তবে কোন কিছুই হয়নি।