আমাদের দেশের সরকারে যেদিন থেকে বিজেপি সরকার এসেছে সেই দিন থেকে আমরা এটা দেখে আসছি যে চীন খুব একটা জোর দেখতে পারছে না ভারতের উপর। মোদী সরকার নানান ভাবে চীন কে চাপে রেখেছে। চীনকে চাপে রাখতে মোদী সরকার ইতিমধ্যেই নানান সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে। তাই এবার চীনের উপর বাড়তি চাপ বাড়ানোর জন্য মোদী সরকার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে নিলেন।এবার মোদীজি চীন কে চাপে রাখার জন্য ভারতের হাতে নিয়ে এলেন এক বাড়তি অস্ত্র। আর সেই অস্ত্র টি হল এক বিরাট ব্রিজ।
এবার দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীজি উদ্ধোধন করতে চলেছেন রেল কাম রোড ব্রিজ। এই দীর্ঘতম ব্রীজটি তৈরী হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর। এর নাম রাখা হয়েছে Bogibeel Bridge।মোদীজি এই ব্রীজটি আগামী ২৫ শে ডিসেম্বর উদ্ধোধন করবেন। এই ব্রিজ নির্মাণের ফলে সবচেয়ে সুবিধা হতে চলেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়। এই ব্রীজটি তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ চীনের গা ঘেঁষে। আর ঠিক এই কারণেই ভারতীয় সেনা জাওয়ানরা যেকোনো সময় খুব কম সময়ের মধ্যে দ্রুত যাতায়াত করতে পারবেন।
এইচ ডি দেবে গৌড়া নিজে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন অর্থাৎ ১৯৯৭ সালে এই ব্রীজের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় এই ব্রিজের কাজ শুরু হয় নি। পরে ২০০২ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন তখন এই ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।তথ্য অনুযায়ী পাওয়া খবর থেকে জানা গিয়েছে যে, এই ব্রীজ লম্বায় হয়েছে ৪.৯৮ কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণের ফলে শুধু যে অসম এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে দূরুত্ব কমবে তাই নয়। এর ফলে সহজেই ভারতীয় সেনা জাওয়ানরা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে পারবেন।
এই সেতুটি যেখানে তৈরি হয়েছে সেখানে থেকে অসম- অরুণাচল সীমান্ত মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে। উল্লেখ্য, মোদীজি গত বছর একটি সেতুর উদ্ধোধন করেছিলেন আর এই বছর আরেকটি করলেন। এর ফলে চীনের কপালে যে বেশ ঘাম জমতে শুরু হয়ে গিয়েছে সেটা ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে।
#অগ্নিপুত্র