Skip to content

রাজীব-কান্ডের ঘটনাকে নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ, মোদি ও অমিত শাহের।

সিবিআই ও মমতার মধ্যে যে লড়াই হচ্ছে সেটার মধ্যে এখনো পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ কেউই আসেননি। রবিবারের ঘটনাকে ঘিরে কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার কে জেরা করার জন্য সিবিআই তার বাড়িতে গিয়ে চরম হেনস্তার শিকার হয়েছিল। এই ঘটনা এত বড় হয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় পর্যন্ত বসে যান। এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে মোদী ও অমিত শাহ জুটি। মোদি ফেসবুকে পোষ্ট লিখেছেন,’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই অনেককেই নাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর মধ্যে তৃণমূলও রয়েছে। তারা কলকাতায় একজোট হয়ে আমার সম্বন্ধে অনেক কিছু বলছে। নিজেদের দুর্নীতি লুকানোর জন্যই ওরা একজোট হয়েছে।

কিন্তু যতদিন না দুর্নীতিগ্রস্তরা শাস্তি পাচ্ছে ততদিন বিশ্রাম নেবো না।’ অপরদিকে অমিত শাহের প্রশ্ন,’ এত ভয় কীসের?’ বুধবার উত্তর প্রদেশের আলীগড় এর একটি সভায় অমিত শাহ বলেন,’ যারা লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষের টাকা মেরেছে, তাদের বাঁচানোর চেষ্টা কেন? মমতা দিদির এত ভয় কীসের? ভয় শুধু একটাই পুলিশ কমিশনার ভিতরে গেলে সবার নাম বলে দিতে পারেন।’ এতদিন ধরে শুধু মাত্র পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কে আক্রমন করত বিজেপি। কিন্তু এই ঘটনার পর দেশের অন্যত্র বিজেপি নেতারা তৃণমূলকে আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছে এই ঘটনাকে ঘিরে। এই ঘটনা নিয়ে অমিত শাহ বলেন,’ মমতা আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। যদি পুলিশ কমিশনার ভেতরে গিয়ে বড় কারো নাম বলে দেন তাই মুখ্যমন্ত্রী রাস্তাতে বসে গিয়েছিলেন।’ এরপর তিনি বলেন, ‘চিটফান্ড কান্ডে কোটি কোটি টাকা লুট হয়েছে। আর যখন সেটা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে তখন মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় বসে যাচ্ছেন।’ অমিত শাহ শুধু এখানেই থামেননি তিনি আরো বলেন,’ মা ছাগল কত দিন তার বাচ্চাকে বলি থেকে আটকে রাখতে পারে।’

বাংলায় সভার অনুমতি না দেওয়া বা হেলিকপ্টার নামতে না দেওয়ার প্রসঙ্গ এদিন টেনে আনেন অমিত শাহ। তিনি বলেন,’ মমতা যদি ভাবে বিজেপি কর্মীদের বাংলায় কাজ করতে না দিয়ে বিজেপির উত্থান ঠেকাবেন, তাহলে ভালো করে বলে রাখি শুনে নেন, ইটের বদলা ইটেই হয়। ‘ বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে সারা দেশের নেতাদের বিগ্রেডের মঞ্চে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা দেখে রাজনৈতিক মহলের অনেকে মনে করেছিলেন যে জাতীয় স্তরে পৌঁছানোর জন্য অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন। বুধবারেই উত্তর প্রদেশের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বলা বক্তব্যের মধ্যে সেই কথাই প্রমাণিত হলো।এ ব্যাপারে আপনাদের কি মতামত তা আমাদের অবশ্যই জানান। আরও এরকম নতুন নতুন খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব পোর্টালটিতে।