আজ ২ ই ফেব্রুয়ারী বাংলায় আগমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির। হরিচাঁদ ঠাকুর ও বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ভূমিকে প্রণাম জানিয়ে বাংলায় জনসভায় ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সমাবেশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের প্রতি হুংকার ছেড়ে দিলেন। তার বক্তব্যে কেঁপে গেল পুরো বাংলা। তাহলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তিনি কি কি বললেন। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য, রামকৃষ্ণ দেব,ঋষি অরবিন্দ, মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য, স্বামী বিবেকানন্দ, শ্যাম প্রসাদ ও নজরুলের বাংলায় এখন অপশাসন চলছে । আজ প্রায় কত সাড়ে চার বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার তুমুল পরিবর্তন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয় ইতিহাসে এই প্রথমবার ছোট কৃষক ও শ্রমিকদের জন্য এক বিরাট ঘোষণা করা হয়েছে যা এর আগে কোন সরকার চিন্তাও করেনি। এই ঘোষণা অনুযায়ী, ১২ কোটি ছোট কৃষক ও ৩০-৪০ কোটিরও অধিক শ্রমিক এবং ৩ কোটির মধ্যবিত্ত পরিবার লাভবান হবেন।
আজ পরিষ্কার হয়ে গেল মমতা দিদি কেন কেন্দ্রীয় সরকারকে এত হিংসা করছে। আপনারা আমাদের এতটা ভালোবেসেছেন এবং এত দূর থেকে এসেছেন যে মাঠে তিলধারণের জায়গা পর্যন্ত নেই। আর এই ছবি দেখেই আমি বুঝতে পারছি বাংলায় এবার পরিবর্তন আসতে চলেছে গড়ে উঠবে সোনার বাংলা। আর একমাত্র বিজেপিই পারে সোনার বাংলাকে গড়ে তুলতে।
যদিও কৃষকদের জন্য এটা সবে সূচনা, পূর্ণ বাজেটে থাকবে আরো অনেক নতুন নতুন ঘোষণা। যে সমস্ত কৃষকদের পাঁচ একরের কম জমি রয়েছে তাদেরকে সরকার বাৎসরিক ৬ হাজার টাকা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে দেবে। শুধু তাই নয় , এবার থেকে সিন্ডিকেটে আর ট্যাক্স লাগবে না। এবার আপনারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন কেন সবাইকে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে বলেছিলাম, বর্তমানে ৩ কোটির অধিক জনধন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
ছোট ছোট কৃষকেরা যাদের বীজ সার কেনার টাকা থাকেনা তাদেরকে বাৎসরিক তিনটি কিস্তিতে ২ হাজার টাকা করে সরকার একাউন্টে দেবে। খুব শীঘ্রই কৃষকদের ব্যাংকে টাকা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে । তার পরিপ্রেক্ষিতে আয় বাড়বে কৃষকের ভারতের জিডিপি আরো এগোবে।
আমাদের ভারতে অনেকবার কৃষি ঋণ মুকুব এর নাম করে কৃষকদের সাথে রাজনীতি করা হয়েছে। এর দরুন কৃষকের যতটা ভালো হয়েছে তার থেকে বেশি কৃষকদের ব্যঞ্জনা করা হয়েছে। শুধু অপেক্ষায় করে গেছেন তারা সময়ের পর সময় কিন্তু ফল পাইনি আজও।
আবার অনেক রাজ্যে কৃষি ঋণ মুকুব এর নাম করে ভোট চাওয়া হয়েছে। আবার যেসব কৃষকরা ঋণ দিতে পারছেন না তাদের পেছনে পুলিশ লাগিয়ে দিচ্ছে কংগ্রেস , আর সেই কংগ্রেসেকে বন্ধু বানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্যই দেশের ভাগ হয়েছিল।অনেকেই ভেবেছিলেন ওপারে থেকে যাবেন কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছে তাদের। এছাড়াও ভারতীয় জনতা পার্টি বৌদ্ধ , শিখ , জৈন হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের নাগরিত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটিকে কে সমর্থন করছে না তৃণমূল সরকার।তিনি জনগণের কাছে তুলে ধরে বললেন আপনার এই বিলটিকে সমর্থন দিন এবং তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন যারা এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তিনি এসব বক্তব্য রেখে “ভারত মাতা কি জয়” বলে নিজের বক্তব্য শেষ করলেন।