এবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্যে এশিয়া ও ইউরোপের ভৌগোলিক দূরত্ব ঘুচে গেল। তার দেওয়া এই বক্তব্যে জার্মানি ও জাপান হয়ে গেল দুই প্রতিবেশী দেশ। এই দুই দেশের মধ্যে প্রায় নয় হাজার কিলো মিটারেরও বেশি দূরত্ব মুছে গেল তার ব্যাখ্যায়। আর তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের শুরু হলো ইমরান খানের ভৌগলিক জ্ঞানকে নিয়ে বিতর্কের। গতকাল রবিবার দিন লক্ষ্য করা যায় শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা তার টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে।
এই ভিডিওতে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বলতে দেখা যায় দুটি দেশে যত বেশি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ততটাই ভালো হয়ে গড়ে উঠবে। যেমন কি আমরা সকলেই জানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত জার্মানি আর জাপান লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। তবে এখন জার্মানি আর জাপান সীমান্তে যৌথ শিল্প কারখানা রয়েছে। যেহেতু এখন দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি একই বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে নির্ভর করছে তাই তারা কখন একে অপরের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইবে না।
Thank you Oh Lord, for ensuring that this gentleman was not my History or Geography teacher…😊 pic.twitter.com/cIGxX0UdSh
— anand mahindra (@anandmahindra) August 25, 2019
তবে এই দিন ইমরান খানের এই ভিডিওটিকে পোস্ট করে আনন্দ মাহিন্দ্রা টুইট করে লিখেন, ভাগ্যিস এই ব্যাক্তিটি আমাদের ইতিহাস বা ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন না, এর জন্য ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।ইমরান খানের এরকম ভিডিও সামনে আসার পরই অনেকেই এই ভিডিওটিতে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতে সামিল হয়ে গেছেন।শুধু তাই নয় দুটি আলাদা মহাদেশ এ অবস্থিত জাপান ও জার্মানি কে কিভাবে ইমরান খান তাদের প্রতিবেশী দেশ বানিয়ে দিলো সেই নিয়ে অনেকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন তাকে, তাছাড়া তার ভূগোলের জ্ঞান নিয়ে কটাক্ষ করছে অনেকে।
তবে এখানেই এটা থেমে থাকেনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই লিখেছেন ভাগ্যিস ইমরান খান আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নয় না হলে দেশটা আজ কোথায় থাকতো কে জানে।তবে ইমরান খানের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা কোনো নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার বিভিন্ন কারণে নেটিজেনদের ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইমরান খান। যার উদাহরণ স্বরূপ রবীন্দ্রনাথের লেখা কে তিনি খলিল জিবরানের নামের টুইট করে, আফ্রিকা কে দেশ বলে বা চীনের বুলেট ট্রেন কে আলোর থেকেও বেশি গতিতে ছুটে ইত্যাদি বলে তিনি এর আগেও হাসিঠাট্টার পাত্র হয়েছেন।
এই ভিডিও প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পিপলস পার্টির বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, সারা জীবন পড়াশোনা না করে শুধুমাত্র ক্রিকেট খেলে কাটালে এটাই হয়,এটা গোটা দেশের লজ্জা।