আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই মতোই আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে বিদেশ থেকে যে সমস্ত অস্ত্র আমদানি করত ভারত সেই গুলি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।কারণ এবার থেকে ভারতেই ওই সমস্ত সামরিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হবে। হ্যালের গবেষণাগারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য তৈরি হবে আধুনিক হেলিকপ্টার, ড্রোন, যুদ্ধবিমান।আপনাদের জানিয়ে দি ভারতীয় বিমানবাহিনী বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিমান বাহিনী তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
এবার ভারতীয় বিমানবাহিনী আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে আধুনিক ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধবিমান পেয়ে। এই প্রকল্পে হ্যালের গবেষণাগারে কী কী তৈরি হচ্ছে সেই বিষয়ে সংক্ষেপে নিচে আলোচনা করা হল।
1. হ্যাল লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (hal light combat helicopter-lch)– লাদাখ সীমান্তে শত্রুদের নজরে রাখার জন্য এই হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনী। এই হেলিকপ্টার পাহাড়ে চড়তেও সক্ষম। হ্যালের চেয়ারম্যান আর মাধবন এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে,’ এটি বিশ্বের সবচেয়ে হালকা হেলিকপ্টার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুবিধার কথা ভেবেই এটি তৈরি করা হয়েছে। এ বছরের মধ্যে আরো 15 টি হ্যাল লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের বরাত আসবে বলে মনে করেছে হ্যাল।
2. হ্যাল ডিআরডিও রুস্তম 2 (hal drdo rustom 2)– এটি একটি অত্যাধুনিক ড্রোন। টানা 24 ঘন্টা ধরে উড়ে নজরদারি চালাতে সক্ষম এই ড্রোনটি। এই রুস্তম টু ড্রোনটিতে থাকবে এয়ার-টু- গ্রাউন্ড মিসাইল এবং স্মার্ট বম্ব। এই ড্রোনটি নিজে নিজেই উঠতে এবং অবতরণ করতে সক্ষম। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি বিভাগের জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছে।
3. হ্যাল সুখোই ফিফথ জেনারেশন ফাইটার এয়ারক্রাফট (sukhoi/hal fifth generation fighter aircraft) — এই প্রজেক্টে ভারত এবং রাশিয়ার দুই দেশেই যৌথভাবে কাজ করেছে। এই ফাইটার জেট এতটাই ক্ষমতা সম্পন্ন যে আকাশ থেকে আকাশ, আকাশ থেকে জাহাজ এবং আকাশ থেকে ভূমি তিন ভাবেই শত্রুপক্ষকে আঘাত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই প্রোজেক্টের জন্য খরচ হবে মোট 600 কোটি ডলার। এই মোট খরচের মধ্যে 35 শতাংশ দেবে ভারত।
4. হ্যাল রুদ্র (hal rudra) –এই আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টারটি মার্কিন সেনাদের কাছে থাকা অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কেউ হার মানিয়ে দেবে এতটাই শক্তিশালী। এই কপ্টারটি আকাশ থেকে ভূমিতে নিখুঁতভাবে মিসাইল ছুটতে সক্ষম। এই রুদ্র হেলিকপ্টারটির মূলত দু’রকমের ভ্যারাইটি রয়েছে। একটি হল, মার্ক-3 এবং অপরটি হল মার্ক-4। মার্ক-3 তে সেন্সর এবং তার টার্গেটিং সিস্টেম দুটোই রয়েছে কিন্তু মিসাইল প্রযুক্তি নেই এতে। কিন্তু রুদ্র হেলিকপ্টারের মার্ক-4 এ এমবিডিএ এয়ার-টু-এয়ার, ২০ এমএম টারেট গান, বেলজিয়ান 70 এমএম রকেট আর এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল সিস্টেম রয়েছে।