Skip to content

আরো একবার ফেব্রুয়ারি মাসে হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপতে চলেছে কলকাতা সহ গোটা বঙ্গবাসী! একাধিক রাজ্যে জারি বৃষ্টির অ্যালার্ট

আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, সোমবার থেকে আরো একবার শীতের আবেশে ভাসবো আমরা সকলেই। ঠিক তাই হল। সোমবার ভোরবেলা থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণ বঙ্গ আরো একবার শিরশিরে ঠান্ডার আমেজ পেল। মঙ্গলবার এবং বুধবার আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন না হলেও বৃহস্পতিবার থেকে আরো কিছুটা তাপমাত্রার পতন ঘটবে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৩° কমে গিয়েছিল যার ফলে কলকাতায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাতেও এসেছিল পরিবর্তন। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল। আপেক্ষিক আদ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৮৮ শতাংশ। এদিন মূলত আকাশ পরিষ্কার এবং মেঘমুক্ত ছিল।

মঙ্গল এবং বুধবার কিছুটা তাপমাত্রা বাড়বে কিন্তু আকাশ মূলত থাকবে পরিষ্কার। সকালে এবং রাতে হালকা শীতের আমেজ অনুভব করব আমরা। তবে দিনের বেলায় রোদের তাপদাহে গরম অনুভব করব আমরা। এ তো গেল দক্ষিণ ভারতের কথা। উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রকৃতির অন্য রূপ দেখবে সকলে। বৃষ্টি হবে দিল্লি এবং তার আশেপাশের এলাকায়।

৩০ জানুয়ারি পুরো উত্তর পশ্চিম ভারতের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে পূর্ব রাজস্থান, গুজরাটের কিছু এলাকায়, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, মুজাফফরবাদ, গিলগিট সহ বেশ কিছু এলাকায়। এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরে একটি নিম্নচাপ জারি হয়েছে যার ফলে ১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ তামিলনাড়ুর বেশ কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আফগানিস্তান এবং আশেপাশের অঞ্চলে একটি তীব্র পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে যার প্রভাব চলবে ৩০ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ পর্যন্ত। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত চন্ডিগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবারও পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে হতে পারে শিলা বৃষ্টি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারতের আবহাওয়ার মধ্যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পাবে উত্তর ভারতে।