Skip to content

এবার চীনের ফাঁদে পাকিস্থান ! ঋণের নামে পুরো পাকিস্থান লুটে নিলো চীন।

কিছুদিন আগে ইসলামিক দেশ পাকিস্থানে যে লোকসভা নির্বাচন হয় তার ফলাফল প্রকাশিত হল। এই ভোটের ফলাফলে উপর নির্ভর করে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পরে পাকিস্তান বাসীকে বলেন তিনি  অনেক উন্নয়ন করবেন। তিনি এও বলেন চিনা মডেলে পাকিস্তানকে গড়ে তোলা হবে। কিন্তু সমস্যা হল যে চীনকে তারা বন্ধু ভাবোতো সেই চিনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন ইমরানের মন্ত্রিসভার সদস্যরা।2013 সালে নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যখন চীন সফরে গিয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন চীন এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব হল হিমালয় পর্বত এর মতন শক্ত। এই বন্ধুত্ব আরো শক্ত পথে 2015 সালে চীনের প্রেসিডেন্ট 2015 সালে পাকিস্তান গিয়ে চীনের এক প্রজেক্ট যার নাম ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ এ অংশীদার করতে গিয়েছিলেন। এই প্রজেক্টে মূলত চীন এশিয়া এবং ইউরোপ এর মধ্যে রাস্তা তৈরি করবে। পাকিস্তান কেও তারা চীনের সাথে নিয়ে চলবে যাতে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে জায়গা হয়।

কিন্তু আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার একমাত্র কারণ হলো চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব। তারা এটাও মনে করছেন যে এই প্রজেক্ট করতে গিয়ে পাকিস্তান প্রচুর ঋণ এ পড়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তান কিভাবে এত বড় ঋণের দায়ে পড়ে গেল? এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন নিজের সুবিধার জন্য পাকিস্তানকে ফাঁদে ফেলে দিয়েছে। এই প্রকল্পটি হলে চিনি সবচেয়ে বড় সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এর ফলে চীনে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং তিন মহাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখতে পারবে।চীনের সামরিক শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। পাকিস্তান চীনের কাছে অনেক টাকা ধার নিয়েছে এ রাস্তাটি তৈরি করার জন্য। আবার এই রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে সেই সমস্ত শ্রমিক গুলিও চিনা শ্রমিক।

এর ফলে চীনের টাকা চিনে ঢুকছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চীন দেশ পাকিস্তানকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁদে ফেলে দিয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছে পাকিস্তান যে পরিমাণ ঋণ এ পড়েছে সেই পরিমাণ ঋণ তাদের দেশের সরকারি ব্যাংক গুলি তো নেই। মনে করা হচ্ছে চীন দেশ নিজের স্বার্থের জন্য পাকিস্তানে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দিক থেকে ভেঙে দিয়ে তারা সুবিধা ভোগ করছে।