সারা বিশ্ব জুড়ে যে মহামারী চলছে তাতে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে অর্থনৈতিক দিক থেকে। ভারতেও এর প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা লকডাউন এর ফলে ভারত অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। যদিও এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি কিছুদিন আগেই 20 লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন চতুর্থ দফায় এই প্যাকেজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কয়লা, বিদ্যুৎ, খনিজ, প্রতিরক্ষা মহাকাশ এবং অসামরিক বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সংস্করণ করা দরকার। কিন্তু কিছু কিছু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে না নিয়ে ভারতে তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে। এদিন নির্মলা সীতারামন এ নিয়ে কিছু ঘোষণা করেন –
1. যে সমস্ত অস্ত্র গুলি দেশে তৈরি হতে পারে বা তৈরি করা যায় সেই সমস্ত অস্ত্র-গুলি দেশেই তৈরি করার ব্যবস্থা করা হোক।
2. যে সকল অস্ত্র গুলি দেশে তৈরি করা সম্ভব হবে সেগুলি আর বিদেশ থেকে আমদানি করা বন্ধ হোক।
3. যে সমস্ত অস্ত্র গুলি বাইরের দিকে কিনতেই হবে তার জন্য একটি নির্দিষ্ট বাজেট তৈরি করা হোক।
4. বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করার ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ 47% থেকে বাড়িয়ে 74% শতাংশ করা হয়েছে।
5. দেশের জন্য যে সমস্ত অস্ত্র কেনা হবে প্রথমে তার একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। এরপর সেই তালিকা সেনাবাহিনীকে দেখাতে হবে। এরপর এই অস্ত্রশস্ত্র কেনার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
6. অর্ডিন্যান্স বোর্ড কর্পোরেটাইজ করা হবে। তবে এই অর্ডিন্যান্স বোর্ড কোনরকম বেসরকারি সংস্থা হাতে তুলে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষরাই পারবেন এর শেয়ার কিনতে।
7. যে সমস্ত অস্ত্র বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে তার যন্ত্রাংশ আমাদের দেশেই তৈরি করতে হবে ফলে এতে দেশের প্রচুর পরিমাণ টাকা সাশ্রয় হবে।
এছাড়াও তিনি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন যেগুলি নিচে দেওয়া হল –
1. এয়ারস্পেস এর ব্যবহার আগের তুলনায় বাড়াতে হবে। এর ফলে সফরের সময় অনেকটা কমবে। আর সফরের সময় কম নেই আমাদের জ্বালানির খরচ কমবে। যা আমাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটা সুবিধা দেবে।
2. ছটি বিমানবন্দর আরো নিলাম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে কাজ হবে পিপিপি মডেল।