Skip to content

এবার নিজের দলের নেতাকেই গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিলেন অনুব্রত মন্ডল। কী এমন করলেন এই নেতা।

বীরভূম জেলার তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। যাকে আমরা প্রায়ই দেখেছি কোনো না কোনো বিতর্কতে। এক কথায় বলাই যায় যে, রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক বিতর্ক অনুব্রত মন্ডল ছাড়া সম্পূর্ণ নয়। যেখানেই বিতর্ক সেখানেই উনি। কখন পুলিশ কে বোম মারার হুমকি তো কখন বিরোধী দলের নেতাকে গাঁজা কেস দিয়ে জেলে ভরা। এই সমস্ত বিতর্কের জন্য রাজ্যে অনুব্রত মন্ডল বেশ নামকরা।তবে এতদিন শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মী দের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেও এখন উনি নিজের দলের নেতাদের কেও ছাড়ছেন না। এবার অনুব্রত মন্ডল কে পাওয়া গেল এক অন্য ভূমিকায়। এবার একেবারে নিজের দলের একজন নেতা কে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিলেন উনি। রবিবার বীরভূম জেলার বোলপুরে তৃনমূলের একটি দলীয় সভা ছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।

সেখানে গিয়ে তৃনমূলের অফিসে বসে উনি তৃনমূল নেতা উজ্জ্বল কাদরিকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। উজ্জ্বল কাদরি উনি হলেন খয়রাশোলের কাঁকরতলার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উনাকে সরাসরি দলীয় সভায় কর্মীদের সামনেই গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন অনুব্রত মন্ডল।অপর দিকে উজ্জ্বল কদরি এই ব্যাপারটিকে গুরুত্বহীন করবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। উনি দাবি করেছেন যে দলের কেউ আমার বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র করে অনুব্রত বাবু কে ভুলভাল বোঝাচ্ছেন।কিন্তু এই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার পিছনে কারন হিসাবে উঠে আসছে খয়রাশোলে যে কিছুদিন আগে বোমা মারা হয়েছিল সেই বোমা মারার নায়ক ছিলেন এই উজ্জ্বল কদরি। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাসলে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের সময় পার্টির মহিলা নেত্রীর বাড়িতে বোমা মারা হয় এবং পুলিশ বাঁধা দিতে এলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়।

আর এই সব কিছুর পিছনে ছিল খয়রাশোল ব্লকের কার্যকরী সভাপতি উজ্জ্বল কাদরি। সেই জন্যই উনার উপর রেগে রয়েছেন বীরভূম জেলার তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। তাই উজ্জ্বল কদরি কে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মন্ডল।

গ্রামের মানুষ দাবি করেছেন যে, এলাকাতে একটি কাজের জন্য ২.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই টাকা কে ঘিরেই দ্বন্ধ বাঁধে বোমাবাজি হয়। আর সেই সব কিছু হয় উজ্জ্বল কদরির মদতে। এর জন্যই উজ্জ্বল করদি কে স্থানীয়দের সমনেই গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।
#অগ্নিপুত্র