Skip to content

“এবার রাস্তায় পাঁচিল তুলে বাংলায় বিজেপির রথ আটকাবে সিপিএম”

এদিকে যেমন রথের যাত্রা সফল করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি,তেমনি আবার অপরদিকে রথের চাকা আটকানোর পরিকল্পনা করছে সিপিএম।  উৎসবের মৌরসুম শেষ হতে না হতেই দুই দল একেবারে পরিকল্পনা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে।
পরের মাসের প্রথম দিকে রাজ্যের রথ যাত্রা শুরু করে দেবে বিজেপি বলে জানা গেছে। 3 ডিসেম্বর তারাপীঠ, 5 ডিসেম্বর কোচবিহার,7 ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর থেকে রথযাত্রার করবে বলে খবর সূত্রে জানা গেছে। বিজেপির তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে এই তিনটি রথ 22 শে জানুয়ারি কলকাতায় পৌঁছবে। তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ 23 শে জানুয়ারি বিগ্রেডে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সমস্ত পরিকল্পনা মাফিক সমস্ত কাজ এখন থেকে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি নেতারা। এমনকি  দিলীপ ঘোষ রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।এই রথযাত্রার যাতে নির্বিঘ্নে ঘটে তার জন্য পুরনো   আইপিএস অফিসার দের নিয়ে বৈঠকও করেছেন তারা।


রথযাত্রার সফল করার জন্য যেমন বিজেপি আপ্রাণ চেষ্টা করছে,তেমনি বামপন্থীরাও কিন্তু ঘরে বসে নেই। তারাও এই রথযাত্রার কে আটকাবার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্যে তা পরিষ্কার বোঝা গেছে। এদিন গৌতম দেবের জেলায় একটি প্রতিবাদ সভায় সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘আমরা রাস্তায় পাঁচিল তুলে দিয়ে বিজেপি রথযাত্রার আটকানো।’
সিবিআই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাক্কারজনক আচরণ নিয়ে  সিজিও কম্প্লেক্স এ সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন সিপিএম। এই বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিএমের তাবড় তাবড় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সবাইয়ের সাথে সূর্যকান্ত মিশ্র বিজেপি কে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন,”রাজ্যের মেহনতী এবং শান্তি প্রিয় মানুষেরা বিজেপির রথযাত্রাকে আটকাবে।

” কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “বিজেপিদের রথযাত্রার যেভাবেই হোক মুক্ত হবে দরকার পড়লে পথে পাঁচিল দিয়ে দিতে হবে যাতে বিজেপি রাস্তায় না খুঁজে পায়।” এই সমাবেশে তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাদের পার্টির সিদ্ধান্ত ও জানান। তিনি  বললেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সাথে  জোট না করতে। অবশ্য সিপিএম এর আগে কংগ্রেসের হাত ধরে চলার পক্ষপাতিত্ব ছিল। তবে অতীতে চিন্তাভাবনাকে মাথায় রেখে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বললেন,”সিপিএম যখন নেই তখন কংগ্রেসকে ভোট দিন।” তবে বিজেপি কে হারাতে তারা সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ মহাজোটে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক নেতাদের অনেকাংশে বলছেন যে সিপিএম এর অস্তিত্ব ঠেকাতে  তারা কংগ্রেসের হাতে হাত ধরে চলবে।