Skip to content

24 ঘণ্টা পার হতে না হতেই চিন্তাধারায় বদল!এখন রাষ্ট্রপতি শাসন নয়,কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বার্তা রাজ্য বিজেপির।

তাড়াহুড়ো না করে সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশের সংঘাতের ঘটনাটি আর একটু দেখে পদক্ষেপ নেওয়াই ভালো, এমনটাই বলেছেন রাজ্য বিজেপি।রবিবার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করতে গিয়ে তোলপাড় হয়ে যায়। সিবিআই আধিকারিকদের নানান হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। গোয়েন্দাদের আটক থেকে ধস্তাধস্থি করায় কলকাতা পুলিশের ওপর কেন্দ্র ক্ষুব্ধ। আদালতের নির্দেশে যখন তদন্ত চলছে তখন রাজ্য পুলিশ এতে কেন বাধা দিচ্ছে? সবার মনে এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমনও করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। দিলীপ ঘোষ রাজ্য রাষ্ট্রপতি শাসনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এই ঘটনার 24 ঘন্টা যেতে না যেতেই নিজেদের মতামত বদলে নিল কেন্দ্র। এখনই 365 ধারা জারি করা হবে না, দিল্লিকে জানালো রাজ্য বিজেপি।এদিন সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশের সংঘাতের ঘটনার খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর রাজ্য এসেছিলেন। এই ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের অভিমত জানতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠকে আরও একটু অপেক্ষা করার কথা বলেছেন রাজ্য বিজেপি। তাঁরা প্রকাশ জাভড়েকরকে জানিয়েছেন, এখন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত হয়ে যাবে। এই গোটা ইস্যুটিকে নিজেদের দিকে টানতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস। এতে বিজেপি তার লক্ষ্যে পৌঁছোতে পারবে না। আর এই ভাবে মমতাকে জিতিয়ে দিতে নারাজ বেশির ভাগ বিজেপির নেতারাই।

উল্টে মমতা যেদিকে এগোচ্ছে তাকে সেই দিকে জেতে দিয়ে ফাঁদে ফেলার দিকেই মত অধিকাংশ নেতারা। অপরদিকে সিবিআই হেনস্থার কারনে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন তিনি লোকসভায় দাড়িয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় হেনস্তা করেন। অপর দিকে মমতার সাথে সমর্থন করছে বিরোধী দল। রাহুল গান্ধী টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছেন। দুজনের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ ও হয়েছে। আরও অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নৈতিক সমর্থন জানায়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়ায় তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল।